নয়াদিল্লি, 1 সেপ্টেম্বর: সমাজকর্মী তিস্তা সেতলওয়াড়ের (Teesta Setalvad) জামিনের আবেদনের শুনানি শুক্রবার দুপুর 2টো পর্যন্ত মুলতবি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়াকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আবেদনের শুনানি করছে (Bail plea defered)৷
গত দু মাস ধরে হাজতে রয়েছেন সমাজকর্মী তিস্তা সেতলওয়াড় ৷ এই দু মাসে এই মামলায় কী কী তথ্য বা জিনিস পাওয়া গিয়েছে তা জানতে চেয়েছে আদালত । আবেদনকারী ইতিমধ্যেই দু মাস হেফাজতে কাটিয়ে ফেলেছেন এবং এই সময়কালে হাজতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী ৷
হেফাজতে তিস্তা সেতলওয়াড়তে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রসিকিউশনের হাতে কোনও তথ্য এসেছে কি না, তাও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ তিন সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, "আদালতে যা হয়েছে, তার থেকে বেশি কিছু নেই এফআইআর-এ ৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপ্রক্রিয়ার বাইরে অতিরিক্ত কোনও তথ্য পাওয়া গিয়েছে কি ? আপনারা কি চার্জশিট দাখিল করেছেন ? তদন্ত কি এখনও চলছে ?"
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন এই মামলা যেহেতু হাইকোর্টে বিচারাধীন, সেই জন্য সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই ৷ তিনি বলেন, "সেখানেই (হাইকোর্টে) এর শুনানি হওয়া উচিত ৷ কোনও প্রয়োজন পড়লে তবেই একমাত্র শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত ৷ আইন অনুযায়ী, হাইকোর্টেরই এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ৷ তা সত্ত্বেও আবেদনকারী এই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷"
আরও পড়ুন:নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পকেট ভরিয়েছেন তিস্তা, সুপ্রিম কোর্টে দাবি গুজরাত সরকারের
তিস্তা সেতলওয়াড়ের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছে গুজরাত সরকার ৷ তাদের দাবি, তিস্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, যে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাবাস । তাঁর জামিনের আবেদন ইতিমধ্যে হাইকোর্টের বিচারাধীন ৷ দীর্ঘ সময়ের মুলতুবির কারণে, সেতলওয়াড় দ্রুত শুনানির জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন । কিন্তু গুজরাত সরকার বলেছে যে, হাইকোর্টকে বাইপাস করে এই নিয়ে নির্দেশ দেওয়া উচিত নয়, যখন এই মামলা ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে বিচারাধীন ৷
উল্লেখ্য, 2002 গুজরাত দাঙ্গা মামলায় নথি জালিয়াতির অভিযোগে গত 25 জুন তিস্তা সেতলওয়াড়কে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ ৷ তিস্তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 468 (জালিয়াতি) এবং 194 (ভুয়ো তথ্য দেওয়া) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে ৷