নয়াদিল্লি, 10 নভেম্বর: একই অপরাধে দোষীদের বিভিন্ন রকম সাজা দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ খুনের ঘটনায় একজনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হলেও অন্যজনের যাবজ্জীবনের সাজা হয়েছিল। তৃতীয় এক ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছিল 20 বছরের কারবাস। এই ঘটনাটি বিচার ব্যবস্থার অসঙ্গতি ৷ এমনই মনে করে মামলাটি নতুনভাবে পর্যালোচনা করে এক দোষীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা মকুব করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ ফাঁসির বদলে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ আর এই রায় পরিবর্তন করা হয়েছে বিচারের স্বার্থেই। এমনটাই জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত ৷
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "বিচার ব্যবস্থার স্বার্থেই আমরা মৃত্যুদণ্ডের আদেশ খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছি ৷ এই কারাবাসের মেয়াদ 20 বছর এবং এই সময়সীমা কমানো যাবে না ৷"
এই মামলার আবেদনকারী মদন এবং সুদেশ পাল এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ৷ হাইকোর্ট মদনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় ৷ এদিকে সুদেশ পালকে ফাঁসির সাজা দিলেও পরে তা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷
কী হয়েছিল ?উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে ৷ এই সময় দোষীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ৷ তাতে 6 জনের মৃত্যু হয় ৷ 2003 সালের 14 অক্টোবর মদন, সুদেশ, কানওয়ার পাল, ঈশ্বর পাল এবং অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ ৷
বিচারপতি বিআর গাভাই রায় পড়ে শোনানোর সময় বলেন, "মদনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ অন্যদিকে, সুদেশ পালের ফাঁসির সাজা মকুব করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷ যদি হাইকোর্টের রায় মেনে চলতে হয়, তাহলে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হবে ৷" বেঞ্চ উল্লেখ করে, সুদেশ পাল একটি নির্দিষ্ট সময় কারাবাসের পর আইন অনুযায়ী তার সাজার সময় কমানোর জন্য আবেদন করতেই পারে ৷ কিন্তু মদনের ক্ষেত্রে পরে আবেদনের কোনও সুযোগ থাকবে না।