পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

সাংপোর ভূমিধস সঙ্কট বাড়াচ্ছে অসম, অরুণাচলের

ইয়ারলাং সাংপো (ব্রহ্মপুত্রের চিনা ভূখণ্ডে থাকা অংশ) নদে বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে চিন ৷ অথচ সেখানেই লাগাতার ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে ৷ যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞজদের ৷ তাঁদের আশঙ্কা, প্রস্তাবিত ওই বাঁধ ভেঙে গেলে জলের তোড়ে ভেসে যাবে ভারতের অসম ও অরুণাচল প্রদেশ ৷

Super landslide rocks Tsangpo river near India-China border
সাংপোর ভূমিধ্বস সঙ্কট বাড়াচ্ছে অসম, অরুণাচলের

By

Published : Apr 1, 2021, 7:19 PM IST

নয়াদিল্লি, 1 এপ্রিল : চিনের ইয়ারলাং সাংপো নদে বিশাল ভূমিধস ৷ যার জেরে প্রায় 10 কোটি টন বরফ, পাথর ও ধ্বংসস্তূপ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রবাহিত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের ৷ প্রসঙ্গত, এই সাংপোই ভারতের পরিচিত ব্রহ্মপুত্র নামে ৷ বয়ে গিয়েছে পূর্বাঞ্চলের অসমের উপর দিয়ে ৷

ভূতাত্ত্বিকদের দাবি, যে এলাকায় এই ভূমিধস দেখা গিয়েছে, সেখানকার ভূ-পৃষ্ঠের গঠন অত্যন্ত বৈচিত্রপূর্ণ ৷ 2017 এবং 2018 সালে ভূমিকম্পের পরও এখানে ভূমিধস হয়েছিল ৷

সবার প্রথম এই এলাকায় ভূমিধসের বিষয়টি লক্ষ্য করেন নর্দার্ন ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্টিন গিয়ার্টসিমা ৷ পরবর্তীতে তাঁর এই পর্যবেক্ষণকে স্বীকৃতি দেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্য়াপক গোরান একস্ট্রম, ক্য়ালগ্য়ারি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপক ড্য়ান শুগার এবং শেফিল্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপক ডেভ পেটলি ৷

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চলতি বছরের 13 মার্চ থেকে 28 মার্চের মধ্যে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটেছে ৷ কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতেই তার প্রমাণ মিলেছে ৷ যা দেখে মনে করা হচ্ছে, এই ভূমিধসের ফলে বেশ কিছু ঝুলন্ত ও পাথুরে হিমবাহ 3 হাজার 900 মিটার গভীরে গিয়ে পড়েছে ৷ যেটি ইয়ারলাং সাংপো নদের তলদেশের সাপেক্ষে 6 হাজার 600 মিটার থেকে 2 হাজার 700 মিটার ডানদিকে অবস্থান করছে ৷

আরও পড়ুন :চিনা বাঁধে কপাল পুড়বে ভারতের

এই ঘটনা ভারতের পক্ষে যথেষ্ট চিন্তার বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷ কারণ, এই এলাকাতেই একটি বিশাল বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন ৷ কোনও কারণে সেটি ভেঙে গেলে জলের তোড়ে ভেসে যাবে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও অসম ৷ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বেজিংয়ের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি ৷ চিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছে ৷

তবে প্রতিবেশীর এই আপত্তিকে পাত্তা দিতে নারাজ চিন ৷ ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে মিলেছে প্রকল্প রূপায়ণের ছাড়পত্র ৷ চলতি বছরের 11 মার্চ দেশের 14তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এই পরিকল্পনাকে ৷ শুধু তাই নয়, প্রকল্প রূপায়ণের ফলে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে, তা নেপাল-সহ তাদের একাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্র ব্যবহার করবে বলেও ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে চিন ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details