নয়াদিল্লি, 29 জুলাই : পঠনপাঠনে মাতৃভাষার গুরুত্ব বাড়ানো ভারতের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতির (National Education Policy) অন্যতম উদ্দেশ্যে ৷ বৃহস্পতিবার আরও একবার একথা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) ৷ উল্লেখ্য়, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রের নয়া শিক্ষা নীতির পক্ষে সমর্থন টানতে গিয়ে মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা লাভের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷ বৃহস্পতিবার আরও একবার সেই প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন :Reservation for OBC and EWS : মেডিক্য়াল ও ডেন্টালে 27 শতাংশ সংরক্ষণ ওবিসিদের
এদিন ছিল দ্বিতীয় মোদি সরকারের বহু চর্চিত পদক্ষেপগুলির মধ্যে অন্যতম জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রণয়নের প্রথম বর্ষপূর্তি ৷ সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁদের সরকারের শিক্ষা নীতি উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষার গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে ৷ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ও প্রদেশের ছেলেমেয়েরা যাতে নিজেদের ভাষাতেই উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হয়েছে ৷ মোদি জানিয়েছেন, শীঘ্রই দেশের 14 টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্থানীয় ভাষায় পঠনপাঠন শুরু করা হবে ৷ প্রাথমিকভাবে পাঁচটি আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনা করতে পারবেন পড়ুয়ারা ৷ এই ভাষাগুলি হল বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলুগু এবং মারাঠি ৷
নয়া শিক্ষা নীতির বর্ষপূর্তিতে মোদি বলেন, ‘‘দেশের যুব সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এবং দৃঢ় দেশ গঠনের জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতির রূপায়ন একটা বড় পদক্ষেপ ছিল ৷’’ সেই কাজে অগ্রসর হতে পেরে তিনি যে অত্যন্ত খুশি, তা লুকিয়ে রাখেননি প্রধানমন্ত্রী ৷ এই সাফল্যের জন্য দেশের সমস্ত শিক্ষক, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি ৷ মোদির মতে, গত এক বছর ধরে এই মানুষগুলো লাগাতার চেষ্টা করেছেন বলেই জাতীয় শিক্ষা নীতিকে সফলভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে ৷
এই প্রসঙ্গে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ নিয়েও বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করেন মোদি ৷ তিনি বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ যুগোপযোগী এবং এর ফলে আজকের তরুণদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে ৷’’ আগামী দিনে কৃত্রিম মেধাকে কাজে লাগিয়েই অর্থনীতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন :Modi-Mamata : উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে মোদির সঙ্গে কি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ মমতার ?
এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগদান করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Education Minister Dharmendra Pradhan) ৷ পাশাপাশি, কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও এদিনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ৷ প্রসঙ্গত, বিরোধীদের তুমুল আপত্তি সত্ত্বেও গত বছর করোনা আবহেই জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করে মোদি সরকার ৷ 1986 সালের আইনের বদলে এই নয়া নীতি প্রণয়ন করা হয় ৷ মোদি সরকারের দাবি, ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, নয়া শিক্ষা নীতি প্রয়োগ করে শিক্ষার গৈরিকীকরণ ঘটাতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ৷ শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মীদের একটা বড় অংশও একই অভিযোগ তুলেছেন ৷