নয়াদিল্লি, 11 জানুয়ারি: একের পর এক ভূমিকম্প ঘটেই চলেছে নয়াদিল্লিতে। বৃহস্পতিবারও রাজধানী-সহ উত্তর ভারত কেঁপে উঠল ভূকম্পনে ৷ তবে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তান বলেই জানা গিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভারতীয় সময়ে বৃহস্পতিবার দুপুর 2.50 নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানীতে ৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল, কাবুল থেকে 241 কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পূর্বে ৷ এখনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি ৷ তবে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশে ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠায় আতঙ্কে নাগরিকরা।
জম্মু ও কাশ্মীরে পুঞ্চেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। পির পঞ্চাল অঞ্চলের দক্ষিণ অংশও কেঁপেছে। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লাহোরেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। ভূমিকম্পের অক্ষাংশ 36.48 এবং দ্রাঘিমাংশ 70.45 বলে জানা গিয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল 220 কিলোমিটার ৷ পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যেমের তরফে জানা গিয়েছে, ভূকম্পনে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ইসলামাবাদ এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশগুলিতে ৷ কারণ, সেখানেই বেশি টের পাওয়া গিয়েছে ভূকম্পন ৷
গুরুগ্রাম, নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং ফরিদাবাদ ও কাশ্মীর উপত্যকা-সহ দিল্লির একাধিক জায়গা ৷ দিল্লি অঞ্চলে হামেশাই 4 থেকে 4.5 মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় ৷ গত 100 বছরে এমন 25-30টি কম্পন রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় হয়েছে, যদিও তাতে সেই অর্থে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ৷ গত 100 বছরে দিল্লিতে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল 27 জুলাই 1960-এর কম্পনে ৷ রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল প্রায় 5.6 ৷
উল্লেখ্য, নতুন বছরের প্রথমদিনেই জাপানে নেমে এসেছিল বিপর্যয়। শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছিল সূর্যোদয়ের দেশ ৷ জানা যায়, নেপালের পাহাড়ের কোলে থাকা জাজারকোট গ্রামই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ি ভেঙে পড়ে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। নেপালের ওই ভূকম্পনের প্রভাবে কেঁপে উঠেছিল সুদূর দিল্লির মাটিও। দিল্লি ছাড়া এনসিআর, অযোধ্যা, লখনউ, বিহার-সহ উত্তর ভারতের বড় অংশের মাটিতে কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
- প্রতিবেশী দেশে ভূমিকম্প, কাঁপল উত্তরবঙ্গ-সহ কলকাতা
- দগদগে স্মৃতি উসকে দিল ভূমিকম্প, চারিদিকে হাহাকার ; দেখুন ভিডিয়ো
- 'ভূমিকম্পে সর্বহারাদের বাঁচাতে হাত বাড়ান', পুরীতটে সুদর্শন পট্টনায়কের বার্তা