নয়াদিল্লি, 4 জুন: সিগন্যালিং-এর ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ছিল । ওড়িশার ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এমনটাই মনে করছে রেলওয়ে বোর্ড ৷ কীভাবে সে দিন তিনটি ট্রেন এত বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বোর্ড জানিয়েছে, কোনও ট্রেনেরই গতিবেগ বেশি ছিল না ৷ তবে রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনের বিস্তারিত রিপোর্টের জন্য রেলওয়ে বোর্ড অপেক্ষা করছে বলে জানানো হয়েছে ৷
রেলওয়ে বোর্ডের অপারেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্টের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা রবিবার ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানোর জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করেন ৷ তখনই তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী, সিগন্যালিং-এর কিছু সমস্যা ছিল । তবে এখনও রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনারের বিশদ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে ।
তিনি জানান, শুধুমাত্র করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল । ট্রেনটি প্রায় 128 কিমি/ঘণ্টা গতিতে ছিল ৷ তবে মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়নি । যেহেতু পণ্যবাহী ট্রেনটি লোহার আকরিক বহন করছিল, তাই তার সঙ্গে ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের । সে জন্যই এই বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ৷ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলি ডাউন লাইনে এসেছিল এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের শেষ দুটি বগিকে আঘাত করেছিল, যেটি ডাউন লাইন দিয়ে 126 কিমি/ঘণ্টা বেগে অতিক্রম করছিল ৷