জয়পুর, 23 মে:পরিবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, শুধুমাত্র আশীর্বাদ হবে ৷ মেয়ে যতক্ষণ না চাইছে ততক্ষণ বিয়ে হবে না ৷ নাবালিকা মেয়েটি অবশ্য চোখ বন্ধ করে পরিবারের সদস্যদের বলা প্রতিটি কথাই বিশ্বাস করেছিল। আর তার পরিণতি হয় মারাত্মক ৷ অভিযোগ, কোচবিহারের বাসিন্দা 17 বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে শেষ পর্যন্ত বিক্রি করে দেওয়া হয় ৷ যদিও পরে পুলিশ এবং এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৷
নির্যাতিতা নাবালিকার অভিযোগ, পরিবারের সদস্যদের কথা বিশ্বাস করেছিল সে ৷ কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে জানতে পারে যে, তার পরিবারের সদস্যরা যে প্রতিশ্রুতি তাকে দিয়েছে সবটাই মিথ্য়া ৷ এমনকী জেনে বুঝেই তাকে মিথ্য়া আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওই নাবালিকার ৷ তার আরও অভিযোগ, পরিবারের তরফেই তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় ৷ জয়পুরের এক 33 বছর বয়সী ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তার ৷ নাবালিকার অভিযোগ, বিয়ের পরের তিন দিন ধরে প্রতি রাতে তার উপর যৌন নির্যাতন চালায় ওই ব্যক্তি। শেষ ওই নাাবলিকা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ৷ তার দাবি, সারারাত এলাকায় একটি পার্কেই কাটায় সে।
কোথাও যাওয়ার রাস্তা না পেয়ে শেষপর্যন্ত পরের দিন সকালে চাইল্ড হেল্পলাইনের অফিসে যায় ওই নাবালিকা ৷ জানা গিয়েছে, চাইল্ড হেল্পলাইনের অফিসেই 'বচপন বাঁচাও আন্দোলন'-এর এক কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দেশে বাল্যবিবাহ ব্যবস্থা রদ করতে 'বচপন বাঁচাও আন্দোলন' নামে এই সংগঠন তৈরি করেছিলেন নোবেলজয়ী সমাজকর্মী কৈলাশ সত্যার্থী ৷ এরপর মেয়েটি গোটা ঘটনা বচপন বাঁচাও আন্দোলনের ওই কর্মীকে জানায় ৷ সমাজসেবী ওই সংগঠনের সদস্যরা এরপর নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে ৷ এমনকী তাকে নিয়ে গিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়।