আগরতলা (ত্রিপুরা), 27 জানুয়ারি: আগামী 16 ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Assembly Elections 2023) ৷ ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল ৷ এই নির্বাচনী আবহে উত্তর পূর্ব ভারতের (North East India) এই রাজ্য় থেকে রোহিঙ্গা (Rohingyas) সন্দেহে ছ’জনকে আটক করা হল ৷ ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার মতিনগর এলাকা থেকে ওই ছ’জনকে আটক করা হয়েছে ৷ মতিনগর এই রাজ্যের কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৷ আর এই এলাকা বাংলাদেশ সীমান্ত (Bangladesh Border) সংলগ্ন ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে মতিনগরের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই ছ’জন থাকছিলেন ৷ ওই বাড়ির মালিকের নাম মতি মিয়াঁ ৷ তিনি বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে ছিলেন না ৷ সেই সুযোগেই ওই ছ’জন ওই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল বলে খবর ৷
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের এই নিয়ে সন্দেহ হয় ৷ যেহেতু এলাকাটি সীমান্ত লাগোয়া, স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয় যে ওই বাড়িতে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছেন ৷ সেই কারণে এলাকার কিছু লোক বাড়িটি ঘেরাও করে ৷ আর কিছু লোক বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ (BSF) এবং স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয় ৷
স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিএসএফ জওয়ানরা ৷ ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় আমতলি থানার পুলিশ আধিকারিকরা ৷ যৌথ অভিযানে আটক করা হয় ওই ছ’জনকে ৷ তার পর তাঁদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ ৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, তারা বহু বছর আগে হায়দরাবাদে গিয়েছিল ৷ সেখানেই তারা কাজ করত ৷ দিন কয়েক আগে ত্রিপুরায় চলে আসে তারা ৷
তারা ত্রিপুরায় কেন এসেছিল ? কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে বিধানসভার ভোট ৷ সেই সংক্রান্ত কারণেই কি তারা এসেছিল এখানে ? পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ত্রিপুরা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের ৷ একজন দালালকেও তারা ধরেছিল ৷ কিন্তু সীমান্তে নিরাপত্তা এখন অনেক বেশি আঁটোসাঁটো ৷ সেই কারণে ওই দালালের পক্ষে ওই ছ’জনকে সীমান্ত পার করানো সম্ভব হয়নি ৷
সেই কারণেই তারা সীমান্তের কাছে লুকিয়ে ছিল ৷ সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল তারা ৷ যা শেষমেশ বানচাল হল ৷ তবে এই ঘটনার সঙ্গে মতি মিয়াঁ জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ তিনি কোথায় আছেন, সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে দিল্লিতে ঘাঁটি তৈরি করছে রোহিঙ্গারা !