বেঙ্গালুরু, 15 মে:শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না কর্ণাটকের মসনদ দখলের লড়াই ৷ ভোটপর্বে লড়াই ছিল বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দক্ষিণের রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার ৷ তাতে সফল হয়েছে কংগ্রেস ৷ দ্রাবিড়ভূমের এই মাটি থেকে পদ্ম উপড়ে ফেলেছে হাত ৷ জিতেছে 135টি আসনে ৷ দুর্নীতির পাঁকে নিমজ্জিত হয়ে দক্ষিণ ভারতের এই শেষ ঠিকানাও এখন হাতছাড়া নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের ৷ কিন্তু তাতেও থামছে না লড়াই ৷ পুরনো ট্র্যাডিশন মেনে লড়াই এখন কংগ্রেস শিবিরের অন্দরে ৷ কে হবেন কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী, এস সিদ্দারামাইয়া নাকি ডিকে শিবকুমার; তা নিয়ে চলছে দু'পক্ষের দড়ি টানাটানি ৷ কংগ্রেসের রাজনীতির বৈশিষ্ট্য মেনেই বর্তমানে সেই 'দ্বন্দ্ব' বেঙ্গালুরু থেকে গিয়ে পৌঁছেছে দিল্লিতে, কংগ্রেস হাইকমান্ডের কোর্টে ৷
13 মে প্রকাশিত হয়েছে কর্ণাটকের ভোটের ফল ৷ জয়ী দলের 135 জন বিধায়ককে নিয়ে রবিবার বেঙ্গালুরুতে বসেছিল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ৷ দলের নির্দেশে সেই বৈঠকে পর্যবেক্ষক হিসেবে হাজির ছিলেন তিন পর্যবেক্ষক সুশীল কুমার শিন্ডে, দীপক বাবারিয়া ও জিতেন্দ্র সিং আলওয়ার ৷ কিন্তু রবিবার সন্ধ্যার সেই বৈঠকে কোনও নেতা নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি ৷ সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুই শিবিরই তাদের দাবি পেশ করে বলে খবর ৷ ফলে বিষয়টি কংগ্রেস হাইকমান্ডের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ দলের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা রিপোর্ট কংগ্রেস সভাপতিকে দেবেন ৷ ফলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন এখন মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধি, সোনিয়া গান্ধিদের কাঁধে ৷ হাইকমান্ডের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি পেশ করতে সোমবার দিল্লি চলে গিয়েছেন এস সিদ্দারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমার ৷