পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Noida Twin Towers ধুলোয় মিশেছে নয়ডার টুইন টাওয়ার, নেপথ্যে রয়েছে হার না মানা কিছু প্রবীণের আইনি লড়াই

পরিকল্পনা মতোই রবিবার দুপুর 2টো 30 মিনিটে বিপুল বিস্ফোরণের অভিঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে নয়ডার টুইন টাওয়ার (Noida twin towers demolished) ৷ প্রায় 100 মিটার উঁচু নয়ডার এই টুইন টাওয়ার (Noida Twin Towers) ধ্বংস করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয় গত কয়েকমাস ধরে ৷ তার আগে চলে দীর্ঘ আইনি লড়াই ৷

Noida Twin Towers demolished
ETV Bharat

By

Published : Aug 28, 2022, 6:04 PM IST

নয়ডা, 28 অগস্ট: প্রবল বিস্ফোরণের অভিঘাতে রবিবার গুঁড়িয়ে গিয়েছে নয়ডার বেআইনি টুইন টাওয়ার (Noida Twin Towers Demolished) ৷ প্রায় 100 মিটার উঁচু ওই দুই অট্টালিকা দেশের উচ্চতম টাওয়ারগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ প্রায় 10 বছরের আইনি লড়াই শেষে এদিন দুপুরে ধুলোয় মিশে গিয়েছে গগনচুম্বী ওই দুই টাওয়ার ৷ এর সঙ্গেই জয় পেয়েছেন একদল প্রবীণ ৷ যাঁরা দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়েছেন ওই দুই অট্টালিকার নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেকের সঙ্গে (Senior citizens legal fight gets closure with the fall of Noida twin towers) ৷

2009 সালে ওই নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে আইন না মেনে বহুতল তৈরির অভিযোগ তুলেছিলেন ইউবিএস তেওটিয়া, এসকে শর্মা, রবি বাজাজ ও এমকে জৈন নামে চার ব্যক্তি ৷ পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত বেশকিছু আধিকারিক ৷ এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত এই দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়ার জন্য তাঁরা অর্থও সংগ্রহ করেন ৷

এমারাল্ড কোর্টের আরডব্লিউএ প্রেসিডেন্ট ইউবিএস তেওটিয়া 2010 সালে প্রথম এর বিরুদ্ধে সরব হন ৷ নির্মাণকারীদের তিনি অভিযোগ করেন এই আবাসন প্রকল্পের জন্য বর্ষার জল বেরতে পারছে না, ফলে জল জমা হচ্ছে তাঁদের আবাসনের বেসমেন্টে ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, নিয়ম না মেনে ওই বহুতল দুটি তৈরি হচ্ছে ৷ 25টি করে তলা তৈরির কথা ছিল অ্যাপেক্স (Apex) ও সেয়ান (Ceyane) নামে ওই দুই অট্টালিকায় (Noida Twin Towers) ৷ কিন্তু বাস্তবে অ্যাপেক্স তৈরি হয় 32 তলা ও সেয়ানে 29 তলা ৷

আরও পড়ুন: মুহূর্তে স্মৃতি, মাত্র 9 সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে গেল নয়ডার টুইন টাওয়ার

ইউবিএস তেওটিয়া জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁদের আপত্তি কানে তোলেনি নির্মাণ সংস্থা সুপারটেক (Supertech) ৷ ফলে তাঁরা বাধ্য হয়ে নয়ডার পুলিশ-প্রশাসনকে বিষয়টি জানান ৷ কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি ৷ এমনকী রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী আজম খানকে বলেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি ৷ এরপরেই 2012 সালে তাঁরা এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেন ৷ 2 বছর পর হাইকোর্ট আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দেয় ৷ নির্মাণকারী সংস্থাকে ওই দুই বহুতল ভেঙে ফেলার পাশাপাশি ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের টাকা ফেরতেরও নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ বেআইনি নির্মাণে মদত দেওয়ার জন্য নয়ডার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও সমালোচনা করে হাইকোর্ট ৷

এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে ৷ এতেও হাল ছাড়েননি ওই বৃদ্ধ আবেদনকারীরা ৷ শীর্ষ আদালতে তাঁরা নির্মাণসংস্থা সুপারটেককে চ্যালেঞ্জ জানান ৷ প্রতিটি শুনানিতে হাজিরা দেন তাঁরা ৷ অবশেষে সুপ্রিম কোর্টেও আইনি লড়াই জেতেন তাঁরা ৷ গত বছর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় ওই দুই বহুতল ভেঙে ফেলার ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details