কাঠমান্ডু, 19 জুলাই:ভারতে আসার আগে নেপালে ছিলেন সীমা হায়দার ! অন্তত কাঠমাণ্ডুর এক হোটেল মালিক বুধবার দাবি করেছেন, যে পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দার, সচিন মীনার সঙ্গে তাদের হোটেলে ছিলেন ৷ শুধু তাই নয়, ওই হোটেল মালিকের দাবি, এই দম্পতি বেনামে রুম বুক করেছিলেন। এই বক্তব্য যে সীমা হায়দার মামলায় বিতর্ক আরও খানিক উষ্কে দিল তা একরকম নিশ্চিত ৷ তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, সীমা হায়দার যে পাকিস্তানের চর, তা এখনই হলফ করে বলা সম্ভব নয় ৷
পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে প্রেম এরপরই ভারতে চলে আসেন সীমা হায়দার ৷ যদিও মে মাসে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে নয়ডা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এরপর এসটিএফ সীমাকে একাধিক বার জেরা করে নয়া তথ্য সামনে এনেছে ৷ তবে এদিন নেপালের এক হোটেল মালিক গণেশ দাবি করেছেন, সচিন মীনা এবং সীমা হায়দার মার্চ মাসে সাত-আট দিন তাঁর হোটেলে ছিলেন। এমনকী ওই হোটেল মালিকের আরও দাবি, তারা যতদিন ছিলেন, বেশিরভাগ সময়ই তারা ঘরের মধ্যেই থেকেছে ৷ মাঝে মধ্যে সন্ধ্যার দিকে বাইরে বেরিয়েছিল বলেও জানান ওই হোটেল মালিক ৷ তাঁর কথায়, যেহেতু হোটেল 10টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় তার জেরে তাড়াতাড়ি ফিরেও আসে ওই দম্পতি ৷
হোটেল মালিকের দাবি, সচিন আগে থেকেই হোটেল বুক করে রেখেছিলেন ৷ এর পাশাপাশি হোটেলের কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী সীমা একদিন পর আসবেন ৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী সীমা এসেছিলেন এবং তাঁরা দু'জনে যাওয়ার সময় অবশ্য আলাদাভাবে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন হোটেল মালিক ৷ তবে সীমা বা সচিনের সঙ্গে কোনও সন্তান ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ তারা থাকার সময় শিবংশ নাম ব্যবহার করার পাশাপাশি তাঁরা ভারতীয় মুদ্রা এবং নোট ব্যবহার করেছিলেন সীমারা ৷ তবে সবকিছুই তারা নগদে লেনদেন করেছে বলেও জানান হোটেল মালিক ৷