নয়াদিল্লি, 10 জানুয়ারি: জেলে গিয়ে বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার সময় বাড়ল না। আইনজীবী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বন্ধু বা পরিবারের সদস্যরা সপ্তাহে দু'বার করে জেলে গিয়ে বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। এই মর্মে রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন আইনজীবী। তবে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সর্বোচ্চ আদালত।
জয় দেহাদ্রাই-সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবীর দাবি ছিল, সপ্তাহে দু'বার দেখা করার সুযোগ থাকায় বন্দিদের অনেক রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আইনি সাহায্য থেকেও বঞ্চিত হতে হয়। দিল্লি হাইকোর্ট বিষয়টি বুঝতে পারেনি। তাই তারা সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে শুনানির পর সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দিল্লি হাইকোর্টের রায় একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না।
আবেদনে আরও বলা হয়েছিল, হাইকোর্ট বন্দিদের জন্য নির্মিত আইনের 585 ধারাকে অগ্রাহ্য করেই এই রায় দিয়েছে। 2018 সালে দিল্লিতে তৈরি এই আইনের ওই বিশেষ ধারায় বলা আছে, আগে বন্দিদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হত এখনকার প্রগতিশীল সমাজে তা কোনও অবস্থাতায় মান্যতা পেতে পারে না। পাশাপাশি, আইনজীবীদের আরও দাবি ছিল, 2021 সালের রেকর্ড থেকে স্পষ্ট দিল্লিতে বিচারাধীন বন্দির সংখ্যাই বেশি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে জাতীয় গড়ের থেকেও বেশি এই সংখ্যাটা।
তাছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় । দিল্লির তিহার জেলের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখানো হয়েছে এখানে যাদের আটকে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় 80 শতাংশ বন্দির মাসিক রোজগার মাসে 8 হাজার টাকার বেশি নয়। এমনকী 66 শতাংশ বন্দি দশম শ্রেণিও পাস করতে পারেনি। অতএব জামিন পেতে যা যা করা দরকার তা করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বন্দিদের পুরোপুরি নিজের আইনজীবীর উপরই নির্ভর করতে হয়। সেক্ষেত্রে দেখা করার জন্য অতিরিক্ত সময় দিতেই হবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এর মধ্যে কোনও যুক্তিকেই গুরুত্ব না দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায় বহার রেখেছে।
আরও পড়ুন:
- বিলকিস-মামলায় বড় ধাক্কা গুজরাত সরকারের, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
- বিলকিস মামলায় 11 আসামিকে 2 সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
- মহুয়া বহিষ্কার ইস্যু: লোকসভা সচিবালয়কে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের, মার্চে শুনানি