নয়াদিল্লি, 8 জানুয়ারি: বিলকিস বানো গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারকে হত্যার মামলায় গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ এই মামলায় 11 জন দোষীকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার ৷ এ দিন সেই সিদ্ধান্তই খারিজ হয়ে গেল ৷ উল্লেখ্য, বিলকিস বানো-সহ শিক্ষা ও রাজনীতির একাধিক ব্যক্তিত্ব গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন ৷
2002 সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর গণধর্ষণ এবং পরিবারের হত্যা মামলায় 11 জন বন্দিকে সময়ের আগে মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়েছিল ৷ সোমবার সেই বেঞ্চ ওই মামলার রায় ঘোষণা করেছে ৷ এই রায়ে আদালতের মন্তব্য, "গুজরাত সরকার দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না ৷ তাদের এই অধিকার নেই ৷" গত অক্টোবর মাসে শুনানি শেষে রায় ঘোষণা মুলতবি রাখে শীর্ষ আদালত ৷
বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন মন্তব্য করেন, "গুজরাত সরকার সাজা মুকুব করতে পারে না ৷ এটা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে ৷ তাদের দক্ষতার অভাব রয়েছে ৷ তাই রিট পিটিশনগুলি মঞ্জুর এবং সরকারের নির্দেশকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হচ্ছে ৷" বিচারপতি এমনটাও মন্তব্য করেন যে, "গুজরাত নয়, মহারাষ্ট্র সরকার আদেশ (বন্দি বা বন্দিদের মুক্তি) দিতে সক্ষম ৷" উল্লেখ্য, গুজরাত সরকারের তরফে তাদের নির্দেশের স্বপক্ষে বলা হয়, 2022 সালে মে মাসে শীর্ষ আদালতের অন্য একটি বেঞ্চের রায়ের প্রেক্ষিতে, তারা সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল ৷ তাও দোষীরা 15 বছরের বেশি কারাদণ্ডের সাজা কাটিয়ে ফেলার পর ৷
গুজরাত সরকারের বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে বিলকিস বানো ছাড়াও, সিপিআইএম নেত্রী সুভাষিনী আলি, ফ্রিলায়েন্স সাংবাদিক রেবতি লাউল এবং লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা বর্মা সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র গুজরাত সরকারের নির্দেশের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন:
- বিলকিস বানো মামলায় গুজরাত-কেন্দ্র নির্দেশ নিয়ে সোমবার রায় সুপ্রিম কোর্টের
- বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের সাজা মুকুবের রেকর্ড চাইল সুপ্রিম কোর্ট
- বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের মুক্তি কেন ? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের