নয়াদিল্লি, 2 ডিসেম্বর: গঙ্গা নদীর সংলগ্ন এলাকা, বিশেষ করে পটনা এবং এর আশেপাশে আর কোনও নির্মাণ করা যাবে না ৷ আর তা নিশ্চিত করতে হবে বিহার সরকারকে ৷ শনিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ বিহার সরকারকে পটনায় গঙ্গার প্লাবনভূমিতে তৈরি করা অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পৃথক হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, যখন বিষয়টি শুনানির জন্য আসে তখন বিহার সরকারের আইনজীবীর দাখিল করা রিপোর্টে দেখা যায়, সরকার পটনা এবং তার আশপাশে গঙ্গা নদী সংলগ্ন 213টি বিনা অনুমোদনের নির্মাণ চিহ্নিত করেছে ৷ এই নির্মাণগুলি সরিয়ে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে ৷ বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, রাজ্য আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে এই অবৈধ নির্মাণগুলি সরানোর অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দেবে ৷ আদালত নির্দেশে জানিয়েছে, এই হলফনামা দাখিল করবেন বিহারের মুখ্যসচিব। রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, বিশেষ করে পটনা শহরের আশেপাশে গঙ্গা নদীর পাশে আর কোনও নির্মাণ যেন না-হয় ৷
পটনার বাসিন্দা অশোক কুমার সিনহার 30 জুন 2020 তারিখে দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল-এর আগে অবৈধ নির্মাণ এবং প্লাবনভূমিতে স্থায়ী দখলের বিরুদ্ধে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে তিনি দাবি করেন, ট্রাইব্যুনাল আপিলকারীর জমা দেওয়া পটনায় গঙ্গা প্লাবনভূমিতে দখলকারী লঙ্ঘনকারীদের বিশদ বিবরণ পরীক্ষা না-করেই আবেদন খারিজ করেছিল ৷ আবেদনকারীর আইনজীবী আকাশ বশিষ্ঠ বলেন, "গঙ্গার প্লাবনভূমিতে অবৈধ এবং বিনা অনুমোদিত নির্মাণ এবং স্থায়ী দখলের ফলে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য, শব্দ এবং প্রচুর পরিমাণে পয়ঃনিষ্কাশন সৃষ্টি হচ্ছে ৷ প্রতি বছর আশপাশের বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে ৷ অবৈধ নির্মাণগুলি নদীর স্বাভাবিক গতিপথকে বাধাগ্রস্ত করছে ৷"
আবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল এই সত্যটি লক্ষ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে যে, জেলার ভূগর্ভস্থ জল আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হওয়ায় শহরের সাড়ে পাঁচ লক্ষ জনসংখ্যার পানীয় ও ঘরোয়া জলের চাহিদা মেটাতে একটি পরিষ্কার গঙ্গা গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য। (পিটিআই)
আরও পড়ুন:
- মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট মেলোনির ! জলবায়ু সম্মেলনের মঞ্চে দুই প্রধানমন্ত্রীর 'বন্ধুত্ব' নিয়ে জোর চর্চা সোশালে
- শীতকালীন অধিবেশনের আগে সংসদে সর্বদলীয় বৈঠক
- মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার অত্যন্ত গুরুতর শাস্তি হতে পারে, লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি অধীরের