দেরাদুন, 30 ডিসেম্বর: দেরাদুনের বাসিন্দা নিখোঁজ নাবিকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর ৷ গত 16 ডিসেম্বর তুরস্কে জাহাজ থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়, অঙ্কিত সাকলানি নামে বাণিজ্যিক জাহাজের ওই নাবিক ৷ আজ অঙ্কিতের কোম্পানির তরফে পরিবারকে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় 150-200 কিলোমিটার দূরে অঙ্কিত সাকলানির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ যদিও, পরিবারের তরফে ইটিভি ভারতকে জানানো হয়েছে, শিপিং সংস্থার তরফে তাঁদের মিথ্যে বলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত ৷ তাঁরা বিশ্বাস করেন না, উদ্ধার হওয়া দেহ অঙ্কিতের ৷
পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, সংস্থার দাবি নিখোঁজ হওয়ার 2 সপ্তাহ পর সমুদ্র থেকে অঙ্কিতের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ কিন্তু, কীভাবে 2 সপ্তাহ ধরে জলে পরে থাকা দেহকে অঙ্কিতের বলে দাবি করছে শিপিং সংস্থা ? পরিবারকে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় অঙ্কিত সাদা ও লাল রংয়ের পোশাক পড়েছিলেন ৷ সেই পোশাক দেখেই নাকি, জাহাজের বাকি কর্মীরা অঙ্কিতের দেহ সনাক্ত করেছেন ৷ কিন্তু, সংস্থার সেই দাবি মানতে চায়নি পরিবারের সদস্যরা ৷ ওই দেহ অঙ্কিতের হতে পারে না বলে জানিয়েছে পরিবার ৷
তাদের অভিযোগ উদ্ধার হওয়া দেহের কোনও ছবি পরিবারকে পাঠানো হয়নি এখনও পর্যন্ত ৷ এমনকী পরিবারের তরফে দেহের ডিএনএ টেস্ট করানোর কথা বলা হয়েছে ৷ এ নিয়ে ওই শিপিং সংস্থা কোনও কথাই নাকি বলতে চায়নি ৷ প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘ সময় সমুদ্রের জলে পড়ে থাকা দেহ কীভাবে খালি চোখে দেখে সনাক্ত করা হল ? আর পরিবারের সদস্য ছাড়া দেহ অন্য কেউ কীভাবে সনাক্ত করতে পারে ? আর দু’সপ্তাহ সমুদ্রে কারও দেহ পড়ে থাকলে, তা ফুলে ফেঁপে যাবে ৷ দেহে পচন ধরবে ৷ সেক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা না করে, একটি দেহ শনাক্ত করে ফেললেন জাহাজের বাকি কর্মীরা ?