জয়পুর, 11 এপ্রিল: 2023 সালের একেবারে শেষ পর্যায়ে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন ৷ এবার ওই মরু-প্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবে কংগ্রেস ৷ কিন্তু তার আগে প্রকাশ্যে চলে ওই দলের অন্দরের ফাটল ৷ মঙ্গলবার শীর্ষ নেতৃত্বের নিষেধ উপেক্ষা করেই অনশনে বসে পড়লেন সচিন পাইলট ৷ একদিনের এই প্রতীকী এই অনশনে তাঁর নিশানায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত ৷ বিজেপির আমলে হওয়া দুর্নীতিগুলির বিরুদ্ধে গেহলতের নিষ্ক্রিয়তা অভিযোগ তুলেছেন সচিন ৷ সেই কারণেই জয়পুরের শহিদ স্মারকে তিনি এই প্রতীকী অনশনে বসেছেন ৷ যদিও তাঁর অনুগামীরা অনশন মঞ্চের পাশ থেকেই সচিনকে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে সরব হয়েছেন ৷
2018 সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের রাজস্থান জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন সচিন ৷ মনে করা হয়েছিল, ভোটে জেতার পর তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু বাস্তবে অশোক গেহলতকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দেন কংগ্রেস হাইকমান্ড ৷ গেহলতের ডেপুটি করা হয় সচিনকে ৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সচিন ও গেহলতের সম্পর্ক বরাবরই অম্ল-মধুর ৷ তাই উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হন তিনি ৷ প্রকাশ্যে বিদ্রোহও ঘোষণা করেন ৷ তার জেরে তাঁকে গেহলতের ডেপুটির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় ৷
মাস কয়েক আগে রাজস্থানের রাজনীতিতে ফের গেহলত-সচিন দ্বৈরথ প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে ৷ তখন অশোক গেহলতকে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি করার জল্পনা শুরু হয়েছিল ওই দলের অন্দরে ৷ সেই সময় সচিন অনুগামীরা আবারও তাঁকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তোলেন ৷ দলের অন্দরে গেহলতের অনুগামী কংগ্রেস বিধায়করা এর বিরুদ্ধে সরব হন ৷ পরিস্থিতি সামলাতে অশোক গেহলতকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদেই রেখে দেওয়া হয় ৷