পাকিস্তানে পাঠানোর আগে সীমাকে সাজিয়ে দিচ্ছেন সচিন? লখনউ, 20 জুলাই: ফের একবার নেট দুনিয়ায় ভাইরাল সীমা ও সচিন ৷ তবে এবার রিলের মাধ্যমে ৷ ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই রিল ৷ যেখানে তাঁদর প্রেম জমে ক্ষীর ৷ আদরে যত্নে সীমাকে সাজিয়ে দিচ্ছেন সচিন ৷ ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে, 'পূজতি হো তুঝকো ভগবান কি তারাহ, তু ছা গায়া হ্যায় মুঝ পর আসমান কি তারাহ..' তাহলে কি পাকিস্তানে যাওয়ার প্রস্তুতি ? সেই জন্যই কি সচিন সাজিয়ে দিচ্ছেন সীমাকে ? প্রশ্ন নেটিজেনদের ৷
পাকিস্তানের 30 বছরের সীমা ও ভারতের বাসিন্দা 22 বছরের সচিনের প্রেম এখন বহুল চর্চিত ৷ পাবজি ফেলতে খেলতে তাদের প্রেম জমে ওঠে ৷ তারপর সেই প্রেমের টানেই সীমা পাকিস্তান থেকে পাড়ি দেয় নেপালে ৷ সেখান থেকে ভারতে ৷ তবে এটা প্রেম নাকি সীমার ভারতে আসা অন্য উদ্দেশে ? তার তদন্ত করছে এটিএস ৷
জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে উত্তরপ্রদেশে গৌতম বুদ্ধ নগরে আসেন সীমা হায়দার ৷ এখন এই ঘটনায় এটিএস তদন্ত করছে ৷ আইএসআই গুপ্তচর হিসাবে সন্দেহ করা হচ্ছে তাঁকে ৷ তবে তা এখনও প্রমাণ সাপেক্ষ । এখন তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে সচিনের সঙ্গে ভারতে অবশিষ্ট বাকি দিনগুলি ভরপুর উপভোগ করছেন সীমা ৷ তা তাদের সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যাচ্ছে ৷ এই ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সচিন তাঁর পাকিস্তানি বান্ধবী সীমার বিনুনি বেঁধে দিচ্ছেন । শুধু তাই নয়, আঙুলে পরিয়ে দিচ্ছেন একটি আংটিও ৷ তার প্রতিক্রিয়ায় ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সীমাও ৷ গত 15 দিন ধরে সচিন ও সীমা হায়দার সম্পর্কিত বিভিন্ন ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায় । তার মধ্যে সম্প্রতি যোগ হয়েছে এটি ৷
আরও পড়ুন:প্রেমের শুরু কাঠমাণ্ডুতে ! সীমা-সচিন বিতর্কে নয়া মোড়
উল্লেখ্য, বুধবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য সামনে আসেনি যাতে প্রমাণিত হয় সীমা একজন গুপ্তচর । তবে তদন্তে জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে স্বামী গোলামের পাঠানো টাকা বাঁচিয়ে পাকিস্তানে বাড়ি কিনেছিলেন সীমা । সীমাকে যখন সচিনের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে আসেন তখন তিনি তাঁর বাড়ি 12 লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিলেন ৷ এরপর দুবাই থেকে নেপালে এবং তারপরে তাঁর চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন সীমা ।