হায়দরাবাদ, 21 নভেম্বর:চলতি মাসের 14 তারিখ ৷ সারা দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল একটামাত্র 'খবর' ! 28 বছরের এক তরুণ ৷ পুলিশের দাবি, সে নাকি প্রেমিকার শরীরের 35 টুকরো করেছে ! তারপর সেই দেহখণ্ড ছড়িয়ে দিয়েছে শহরের আনাচ-কানাচে ! এমন হাড়হিম কাণ্ড শুনে অনেকেরই দম বন্ধ হওয়ার জোগাড় ৷ অনেকে আবার বলছেন, এই 'জেনারেশন'টাই নাকি যা তা ! এদের না-আছে আবেগ, না-অন্তর ৷ এরা কাউকে ভালোবাসতে জানে না ৷ এরা বোঝে শুধু নিজেদের স্বার্থ ! সত্যিই কি তাই ? একটা নৃশংসতা, একটা পৈশাচিক ঘটনাই কি একটা গোটা প্রজন্মের আবেগের, তাদের ভালোবাসার মাপকাঠি হতে পারে ? প্রশ্নটা উঠছেই ৷ কারণ, এই দেশ যেমন দিল্লির 'জল্লাদ'কে দেখেছে, তেমনই সাক্ষী থেকেছে আরও অনেক 'কাহিনি'র ৷ যা বিশ্বাস ফিরিয়েছে প্রেমে, ভালোবাসায়, আবেগে ৷
খুনের দায় থেকে বাঁচতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Sharaddha Walker) নিথর দেহ টুকরো, টুকরো করেছিল প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aaftab Amin Poonawalla) ৷ সে ব্যস্ত ছিল রক্তের দাগ মুছতে, খণ্ড-বিখণ্ড প্রণয়ীকে লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে ফেলতে ৷ তাকে নিয়ে চর্চা যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই প্রেয়সীর অন্তিম শয্যার পাশে বসেছিলেন বিতুপান তামুলি (Bitupan Tamuli) ৷ অসমের কোনও এক অখ্যাত গ্রামে প্রয়াত প্রেমিকার সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি ! মাত্র কয়েক দিনের অসুখে বিতুপানকে চিরকালের মতো ছেড়ে চলে যান প্রার্থনা বোরা (Prarthana Bora) ৷ ভালোবাসার এমন পরিণতি শেষমেশ মেনে নিয়েছেন বিতুপান ৷ পণ করেছেন সারাজীবন একা থাকার ! আর তাই শেষকৃত্য়ের আগে প্রেমের মানুষটিকেই দিয়েছেন অর্ধাঙ্গিনীর স্বীকৃতি ৷ হোক না তাঁর দেহ নিথর ! তাতে কী !