উত্তরকাশী (উত্তরাখণ্ড), 19 নভেম্বর: এখনও আটকে রয়েছেন 41 জন শ্রমিক ৷ উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা টানেল দুর্ঘটনায় আটকে থাকা শ্রমিকদের বাঁচাতে এবার সাহায্য নেওয়া হবে রোবটের ৷ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব রণজিৎ কুমার সিনহা জানিয়েছেন, এই রোবটটি সুড়ঙ্গের টানেলের ভিতরে ধ্বংসাবশেষের সবথেকে ছোট জায়গা থেকে বিভিন্ন দিকে চলে যাবে ৷ শুধু তাই নয়, পাইপ বিছানোর সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে এই রোবটের মাধ্যমে ৷ জায়গাটি খুবই সংকীর্ণ হওয়ায় একমাত্র একটি ছোট রোবটই সেখানে যেতে পারে । যদি এমন একটি রোবট ভারত সরকার বা কোনও বেসরকারি সংস্থার কাছে পাওয়া যায় তবে তা সংগ্রহ করা হবে ।
12 নভেম্বর হাইওয়েতে নির্মাণাধীন সিল্কইয়ারা টানেলে ভূমিধস নামে ৷ তাতেই 41 জন শ্রমিক আটকে পড়েন ৷ 8 দিন কেটে গেলেও তাদের এখনও উদ্ধার করা যায়নি ৷ বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রায় 6টি সংস্থা শ্রমিকদের বাঁচাতে পাঁচটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ৷ যার মধ্যে সিল্কইয়ারা টানেলের মুখ থেকে অঙ্গার মেশিন দিয়ে ড্রিলিং, বারকোট প্রান্ত থেকে ড্রিলিং, টানেলের উপর ডান ও বামদিক থেকে ড্রিলিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ৷ এই পাঁচটি পরিকল্পনার পাশাপাশি ষষ্ঠটিরও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ৷ এর পাশাপাশি টানেল খননের জন্য একটি অস্থায়ী রাস্তাও নির্মাণ করার কাজ চলছে ৷ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব রণজিৎ কুমার সিনহা এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ।
তিনি জানান, ভূমিধসের কারণে টানেলের ভিতরে যে ধ্বংসাবশেষ এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে টানেলের উপরের ছাদের মধ্যে সামান্য জায়গা রয়েছে । এবার রোবট পাঠিয়ে দেখা হবে অন্যদিকে কতটা জায়গা আছে । যাতে অন্য পাশে একটি পাইপও ঢোকানো যায় ৷ এই ষষ্ঠ পরিকল্পনা শ্রমিকদের জীবন বাঁচাতে ব্যবহার করা হবে ৷
সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে দিনরাত তৎপরতার সঙ্গে কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব ড. সিনহা ৷ তিনি বলেছেন, "সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং অঙ্গার মেশিন দিয়ে ড্রিলিংয়ের সময় কোনও বাধা না থাকলে উদ্ধার অভিযানে 30 থেকে 40 ঘণ্টা সময় লাগতে পারে ।