পটনা, 17 জানুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই ৷ অথচ এখনও আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ ৷ যদিও এত তাড়াতাড়ি আসন সমঝোতার রফাসূত্র বের হবে না বলেই মনে করেন লালু প্রসাদ যাদব ৷ বুধবার এই কথা জানিয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান ৷ তিনি বলেন, ‘‘জোটে এত তাড়াতাড়ি আসন ভাগাভাগি হয় না... ৷’’
গত বছর জুনে বিজেপি বিরোধী এই জোট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷ প্রথম বৈঠক হয় পটনায় ৷ জুলাই মাসে বিরোধী জোটের দলগুলি বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করে ৷ সেখানেই জোটের নাম ঠিক হয় ‘ইন্ডিয়া’ ৷ তার পর মুম্বইতে ও দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে ৷ কিন্তু আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি ৷ চলতি মাসে ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়েছে ৷ তার পরও অধরা আসন ভাগাভাগির বিষয়টি ৷
আদৌ আসন সমঝোতা হবে তো ? এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে জাতীয় রাজনৈতিক মহল ৷ কারণ, বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে বিভিন্ন দল একছাতার তলায় এলেও রাজ্যে-রাজ্যে অনেকেই যুযুধান ৷ সব রাজ্য়ের পরিস্থিতি বিহার বা ঝাড়খণ্ডের মতো নয় ৷ এই দুই রাজ্য়েই আরজেডি ও কংগ্রেস জোটে রয়েছে ৷ তাদের সঙ্গে বিহারে যেমন নীতীশ কুমারের জেডিইউ রয়েছে, তেমনই ঝাড়খণ্ডে রয়েছে হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৷
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আবার কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূল একে অপরের বিরোধী ৷ পঞ্জাব ও দিল্লিতেও একই পরিস্থিতি ৷ সেখানে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি একে অপরের প্রতিপক্ষ ৷ ফলে আসন সমঝোতা কিভাবে হবে, এই নিয়ে সবপক্ষের মধ্যেই আলাপ-আলোচনা চলছে ৷ শিবসেনা (ইউবিটি), তৃণমূল কংগ্রেস ও জেডিইউ অবশ্য আসন সমঝোতা নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে ৷ মনে করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরুর আগে কংগ্রেসের তরফে এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করে নেওয়া হবে ৷