সরকারের রেকর্ড অনুসারে দেশে পুরনো স্টকে থাকা সারের পরিমান 11.3 লাখ টন ৷ কেবল মাত্র দুটি তেলুগু রাজ্যে 31 লাখ টন সারের প্রয়োজন হয় ৷ এর থেকেই পুরো দেশে কত পরিমাণ সারের প্রয়োজন হয়, সেটা সহজেই অনুমান করা যায় ৷ এই পরিস্থিতিতে পুরনো মূল্য কেবল স্টকে থাকা সারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, এই নির্দেশিকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় ৷ বিষয়টি প্রতারণার সামিল বলেও অনেকে মনে করেন ৷
আইএফএফসিও-র তরফে জানানো হয়েছে,আমদানিকৃত সার ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির জন্য এই বৃদ্ধি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে ৷ কারণ যাই হোক, হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি কৃষকদের উপর বিশাল বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে ৷ আবার সরকারে তরফে বলা হচ্ছে, নতুন দামে ব্যাগ গুলো ছাপা হলেও তা কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হবে না ৷ কিন্তু, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই এ কথা কৃষকদের উদ্বেগ কমাতে পাচ্ছে না ৷ কৃষকদের বোঝা কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সার ভর্তুকির অংশ বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে ৷ এই ধরণের পরামর্শের কোনও জবাব না দিয়ে কেন্দ্রের তরফে কেবল বলা হয়েছে, আমদানি করা বেশি দামের সারের পরিবর্তে সুপার ফসফেট এবং জৈব সারের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷
সব কিছু বলার পরও, সারের বর্ধিত দাম খাদ্য শস্য উৎপাদনকারী কৃষকদের উপর চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা বোঝা চাপিয়ে দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে ৷ বাণিজ্যিক ফসল উৎপাদনকারী কৃষকদের উপর বোঝা আরও অনেক বেশি হবে ৷ আর যে কোনও সবজি এবং ফসল চাষের ক্ষেত্রে সার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি প্রয়োজনীয়, তাই সার ছাড়া কোনও কিছুই সম্ভব নয় ৷
সারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু, কৃষি জমিতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা কোনও ভাবেই স্বস্তি পাচ্ছেন না ৷ এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের দুঃখের কথা কে শুনবে ?
জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি কৃষির কাঁচামাল উৎপাদনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে, সে কথা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল । ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহারের খরচ বেড়েছে । সারের ব্যয় বৃদ্ধি কৃষকদের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে । এই ব্যয় বৃদ্ধি কৃষকদের হৃদয়ে ভয়ঙ্কর আঘাত আনছে ।