নয়াদিল্লি, 8 জুন: প্রয়াত গীতাঞ্জলি আইয়ার ৷ তিনি দেশের অন্যতম প্রথম সংবাদপাঠিকা ৷ দূরদর্শনে ইংরেজি ভাষায় সংবাদ পড়তেন গীতাঞ্জলি ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় 75 বছর ৷ একাধিক পুরস্কার জয়ী এই সংবাদপাঠক শেষ জীবনে পারকিনসন'স ভুগছিলেন ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বুধবার হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ৷ বাড়ি ফিরে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ তাঁর মৃত্যুতে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সামাজিক মাধ্যমে শোকবার্তা জানিয়েছেন ৷
গীতাঞ্জলি আইয়ারের এক বন্ধু বলেন, "তাঁর পারকিনস'স হয়েছিল ৷ তার চিকিৎসাও চলছিল ৷ বাড়ি ফেরার পর তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ৷" দেশের অন্যতম প্রথম ইংরেজি ভাষার এই সংবাদপাঠিকা কলকাতার লরেটো কলেজ থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন ৷ 1971 সালে তিনি দূরদর্শনে যোগ দেন ৷ চার বার শ্রেষ্ঠ সঞ্চালিকার পুরস্কার পেয়েছেন সংবাদপাঠিকা আইয়ার ৷ 1989 সালে ইন্দিরা গান্ধি প্রিয়দর্শিনী অ্যাওয়ার্ড পান তিনি ৷
আরও পড়ুন: জীবন যুদ্ধে হার মানলেন পর্দার শকুনি মামা, প্রয়াত অভিনেতা গুফি পেন্টাল
শুধুমাত্র সংবাদজগতেই সীমিত ছিল না তাঁর জীবন ৷ গীতাঞ্জলি ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা বা এনএসডি থেকে ডিপ্লোমা পেয়েছিলেন ৷ সাতের দশকে একাধিক বিজ্ঞাপনের জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন আইয়ার ৷ সংবাদপত্রে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে তাঁর ছবি দেখা যেত সে সময় ৷ তিনি 'খানদান' নামক একটি ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন ৷ তাঁর কেরিয়ার জীবন বর্ণময় ছিল ৷ ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সংবাদপাঠিকা গীতাঞ্জলি ৷
শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ৷ তিনি লিখেছেন, "গীতাঞ্জলি আইয়ারের মৃত্যুর খবর শুনে গভীরভাবে শোকাহত ৷ তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো, দূরদর্শনে দেশের অন্যতম প্রথম এবং সুন্দর সংবাদপাঠিকা ৷ এই দুঃসময়ে তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল ৷ ওম শান্তি !" সাতের দশকে গীতাঞ্জলি আইয়ারের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে অনুরাগ লেখেন, প্রতিটি সংবাদে তাঁর বাচনভঙ্গি আলাদা ছিল ৷ তিনি সংবাদজগতে একজন পথপ্রদর্শক ৷ সেই সময় সঞ্চালিকার পেশায় বিশ্বাসযোগ্যতা, পেশারদারিত্ব এনেছিলেন গীতাঞ্জলি আইয়ার ৷ সাংবাদিকতা এবং সম্প্রচার ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ৷ মন্ত্রী ছাড়াও বহু সাংবাদিকও গীতাঞ্জলি আইয়ারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন ৷
শোকবার্তা জানিয়েছেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার ৷ তিনি লিখেছেন, "আজ আমি আমার এক পুরনো বন্ধুকে হারালাম ৷ তাঁর ব্যক্তিত্ব ও গুরুত্ব প্রকাশ করতে শব্দ যথেষ্ট নয় ৷ ডিডিনিউজকে তিনি একটি উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ প্রসার ভারতীয় সিইও হিসেবে সেইভাবে সংস্কারের সবরকম চেষ্টা করেছিলাম ৷"
আরও পড়ুন: প্রয়াত বিগ বির 'অনস্ক্রিন মা' সুলোচনা লতকর, চলে গেলেন কোলালামও