নিউ দিল্লি, 30 মে : গারদের লোহার শিক ধরে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন । বাঁদিকের চোখ লাল হয়ে ফুলে রয়েছে ৷ হাতে, কবজিতে কালশিটের ছাপ স্পষ্ট ৷ ডমিনিকায় ধরা পড়ার পরের দিন তাঁর এই ছবি প্রকাশ করেছে অ্যান্টিগার একটি সংবাদসংস্থা ৷ এই সংবাদসংস্থা তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে পলাতক ব্যবসায়ীর দু'টি ছবি পোস্ট করে লিখেছে, "গারদের পিছনে মেহুল চোক্সির প্রথম ছবি ।"
মেহুলের ভারতীয় আইনজীবীর দাবিকে সমর্থন করে এবার ডমিনিকায় তাঁর আরেক আইনজীবী ওয়েন মার্শও জানান, 23 মে তাঁকে অ্যান্টিগা থেকে অপহরণ করে তুলে এনে মারধর করা হয় ৷ তিনি বলেন, "মেহুল চোক্সি আমায় বলেছেন তাঁকে অ্যান্টিগার জলি হারবার থেকে অপহরণ করে 60-70 ফুট দৈর্ঘের একটি ভেসেলে তুলে ডমিনিকায় পাঠানো হয় ৷ ওই ভেসেলে অ্যান্টিগার পুলিশ সমেত আরও অনেকে ছিলেন, হয়তো তাঁরা ভারতীয় ৷"
আরও পড়ুন : দিল্লির বোকামিতে ইতিহাসে আলাপন
কমনওয়েলথ অফ ডমিনিকা-সহ পূর্ব ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সর্বোচ্চ আদালত ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান সুপ্রিম কোর্ট আপাতত ডমিনিকা থেকে তাঁকে অন্য কোথাও পাঠানোর উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে ৷ 2 জুন পর্যন্ত তাঁকে অন্য কোনও দেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত।
এদিকে, অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গাস্টন ব্রাউন অভিযোগ করেছেন, মেহুল চোক্সি শাসক দলের বিরোধী ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ পার্টিকে আর্থিক সাহায্য করেছেন ৷ আর তাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্যবসায়ীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পক্ষে কথা বলছে ইউপিপি ৷ কিন্তু গাস্টিন সরকার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ এ বিষয়ে দেশের আদালত যা রায় দেবে, তাই মেনে নেবেন গাস্টিন ৷
পঞ্জাব ন্য়াশনাল ব্যাঙ্কের 13,500 কোটি টাকার তছরূপ মামলায় অভিযুক্ত মেহুল 2018 সালের জানুয়ারি থেকে অ্যান্টিগায় রয়েছেন ৷ তিনি সেখানকার নাগরিক ৷ পিএনবি-র টাকা তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত মেহুল চোক্সির বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করেছে সিবিআই আর ইডি ৷ 28 মে অ্যান্টিগা থেকে পালিয়ে কিউবায় যাওয়ার পথে ডোমিনিকায় ধরা পড়েন মেহুল । এদিকে, শুক্রবার পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সির ডমিনিকায় প্রবেশকে "বেআইনি" বলে ঘোষণা করে সেখানকার আদালত ৷ পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত এই দ্বীপ থেকে চোক্সিকে বের করে দেওয়ার আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ডমিনিকার আদালত ৷ অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সেখানে ফেরার বদলে ভারতে যেতে বলেছেন ৷