হায়দরাবাদ, 2 জুন: একই লাইনে দুই ট্রেন ৷ কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ ৷ আর যার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে গেল ট্রেনের অধিকাংশ বগি ৷ লাইনের উপর কার্যত তিন থেকে চারটি বগির কাঠামো কোনও রকমে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল ৷ শুক্রবার চেন্নাইগামী হাওড়া-শালিমার আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ফের একবার উস্কে দিয়েছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি ৷ একটি ঘটেছিল 28 মে, অন্যটি হল 2 জুন ৷ তবে প্রাথমিকভাবে রেল-সহ ওয়াকিবহল মহলের ধারণা দুটি দুর্ঘটনার মধ্যে তেমন কোনও আকাশ-পাতাল পার্থক্য নেই ৷
যেভাবে এদিন দুটি এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি ট্রেনের মধ্য়ে সংঘর্ষ হয়, তাতে ভয়াবহতার নিরিখে তা জ্ঞানেশ্বরীকে ছাপিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা প্রাথমিকভাবে করছে রেল বিশেষজ্ঞরা ৷ এদিনের দুর্ঘটনার খানিক বাদেই অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, প্রায় 50 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে প্রায় 500 জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও খবর মিলেছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই মৃতের সংখ্যা যে বাড়বে, তা হলপ করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ আর এখানেই আরও একবার স্মৃতির পর্দায় ভেসে উঠে এসেছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ছবি ৷
কী হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় ? 2010-এর 28 মে ঝাড়গ্রামের সর্ডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় ডাউন লাইনে উলটো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের। রেলের তরফে অবশ্য সেবারও প্রাথমিকভাবে লাইনচ্যুত হওয়ার তত্ত্বই সামনে আনা হয়েছিল ৷ কিন্তু তার ভয়াবহতা দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ৷ ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ একটি বগির উপর উঠে গিয়েছিল একাধিক বগি ৷ দুমড়ে-মুচড়ে কার্যত তাল পাকিয়ে গিয়েছিল বগিগুলি ৷ দেহ উদ্ধার করতে ক্রেনের সাহায্যে সেসময় সরানো হয়েছিল বগিগুলিকে ৷