নয়াদিল্লি, 3 সেপ্টেম্বর: বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার পর একমাসও কাটেনি ৷ 31 অগস্ট সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তবে এই ঘটনা ব্যতিক্রমী নয় ৷ বিশেষ অধিবেশন ডাকার একাধিক নজির রয়েছে সংসদীয় গণতন্ত্রে। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের দু'টি অধিবেশনের মধ্যে সময়ের ফারাক 6 মাসের বেশি হবে না ৷ সেদিক থেকে 38 দিনের মাথায় বিশেষ অধিবেশন বসায় কোনও আইনি বাধা নেই বলে মনে করেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাধারণ সচিব বিবেক কে অগ্নিহোত্রী ৷ 1962 সালের চিন যুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতার 50 বছর উদযাপন এবং জিএসটি লাগুর সময় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন।
31 অগস্ট মুম্বইয়ে 'ইন্ডিয়া' জোট বৈঠকে বসে ৷ এদিকে সেদিনই কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, 18-22 সেপ্টেম্বর পাঁচদিন বিশেষ সংসদীয় অধিবেশন হবে ৷ মনে রাখা দরকার, 20 জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছিল ৷ 11 অগস্ট পর্যন্ত সেই অধিবেশন চলেছে ৷ এর মাত্র 20 দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ সংসদীয় অধিবেশন বসার কথা ঘোষণা করে ৷
কী বলছে সংবিধান ? ভারতীয় সংবিধানের 85 ধারায় সংসদের অধিবেশনের সময়, অধিবেশন ডাকা এবং শেষ করার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বিশদে বলা আছে ৷ রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন বোধ করলেই তাঁকে সংসদের অধিবেশন ডাকার ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান ৷ তবে একটি অধিবেশনের শেষ দিন এবং পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ 6 মাসের ব্যবধান থাকতে পারে ৷
এদিকে সংবিধান কোথাও বলছে না যে, রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র তিনটি অধিবেশন- বাজেট অধিবেশন, বাদল এবং শীতকালীন অধিবেশনই ডাকবেন ৷ 352 ধারা অনুযায়ী, জরুরি অবস্থায় লোকসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা যায় ৷ তবে 18-22 সেপ্টেম্বরের এই অধিবেশনের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় ৷