নয়াদিল্লি, 25 জুন : নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে আগেই কেন্দ্রীয় সরকার ও টুইটারের (Twitter) মধ্যে সঙ্ঘাত বেঁধেছিল ৷ এবার সেই সঙ্ঘাতের মধ্যেই নতুন বিপত্তি তৈরি হল ৷ অভিযোগ, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের (Ravi Shankar Prasad) অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয় টুইটারের তরফে ৷ ঘণ্টা খানেক পর আবার অ্যাকাউন্টটিকে সক্রিয় করা হয় ৷
শুক্রবার আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এমনই অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া এবং তার পর সেটি খোলা, দু’টোরই স্ক্রিনশট দিয়ে একটি টুইট করেন তিনি ৷ সেখানেই এই অভিযোগ করেন আইনমন্ত্রী ৷ এর পর তিনি এই বিষয়ে একাধিক টুইট করেন ৷ কী কারণে টুইটার তাঁর অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে সেটিও উল্লেখ করেন মোদির (Narendra Modi) মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ৷
আরও পড়ুন :দেশের ইতিহাসের অন্ধকারময় অধ্যায়, জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তিতে কংগ্রেসকে তোপ শাহের
তাঁর দাবি, একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারের অংশ তিনি টুইটারে দিয়েছিলেন ৷ সেই কারণেই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ এই কাজ করে টুইটার তথ্য প্রযুক্তি আইনের (IT Act) 4(8) নম্বর ধারা ভেঙেছে বলেও তিনি দাবি করেন ৷ তাঁর বক্তব্য, আইনের ওই ধারায় স্পষ্ট বলা আছে যে কারও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হলে, আগে তাঁকে নোটিস দিতে হবে ৷
কেন্দ্রের মোদি সরকারের তরফে ডিজিটাল পরিসরে নতুন আইন আনা হয়েছে ৷ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলি নয়া আইন মেনে চলার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে ৷ কিন্তু টুইটার এখনও এই বিষয়ে সম্মতি দেয়নি ৷ এই নিয়ে সংসদীয় কমিটির জেরার মুখে পড়তে হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষকে ৷ অন্যদিকে একটি ভিডিয়ো যাচাই না করেই তাদের প্ল্যাটফর্মে থাকতে দেওয়ায়, ওই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের একটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ তার পর রবিশঙ্কর প্রসাদের এই ঘটনা ৷
আরও পড়ুন :করোনার ডেলটা প্লাস প্রজাতির সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রকে একগুচ্ছ প্রশ্ন রাহুল গান্ধির
এই নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, টুইটার একতরফা ভাবে কারও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারবে না ৷ এটা বুঝতে পেরেই ভারতের নতুন ডিজিটাল আইন মানতে চাইছে না ৷ তাছাড়া তিনি যে ভিডিয়ো শেয়ার করেন, তা নিয়ে কোনও সংবাদমাধ্যম কোনও অভিযোগ তোলেনি ৷ তাহলে কেন এই সিদ্ধান্ত টুইটার নিল, সেই প্রশ্নই তুলেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ ৷