অযোধ্যা, 11 জানুয়ারি:শ্রীরামের জন্মস্থান হিসেবেই পরিচিতি অযোধ্যার ৷ তবে খুব কম লোকই জানেন যে, এই শহরে রাম এবং সীতার একটি ব্যক্তিগত প্রাসাদও রয়েছে । এই প্রাসাদটি রাম জন্মভূমির উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত । কথিত আছে, বিয়ের পর অযোধ্যায় এলে পুত্রবধূ সীতাকে সেই প্রাসাদটি উপহার দেন রানি কৈকেয়ী ৷ এটি সীতা ও রামের ব্যক্তিগত প্রাসাদ ছিল । দ্বাপরে শ্রীকৃষ্ণ এই প্রাসাদের সংস্কার করেছিলেন বলে মনে করা হয় । পরে বিক্রমাদিত্য এই প্রাসাদটি পুনর্নির্মাণ করেন । এরপর ওরছা রাজ্যের রানি বৃষভানু কুনওয়ারিও এই প্রাসাদ মেরামত করিয়েছিলেন । আজও খুব সুন্দর এই প্রাসাদটি রক্ষণাবেক্ষণ করেন ওরছা রাজবংশের লোকেরা । প্রাসাদের গর্ভগৃহে রাম ও সীতার মূর্তি রয়েছে । ভবনের দেওয়াল থেকে এখনও শোনা যায় নূপুরের শব্দ ।
প্রাসাদে রাম-সীতার মূর্তি:বহুতল প্রাসাদ, বিশাল তার দরজা ৷ এই প্রাসাদের স্থাপত্য বুন্দেলখণ্ডের প্রাসাদের মতো । মনে করা হয়, ত্রেতাযুগে সীতা ও রামের বিয়ের পর এই প্রাসাদটি সীতাকে তাঁর শাশুড়ি কৈকেয়ী উপহার দিয়েছিলেন । প্রাসাদটি নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা কাহিনী । কথিত আছে যে, এই প্রাসাদটি বেশ কয়েকবার পুনর্নির্মিত হয়েছে ।
প্রথমত, দ্বাপর যুগের প্রথম দিকে রামের পুত্র কুশ প্রাসাদটি মেরামত করিয়েছিলেন । পরে দ্বাপরে এই প্রাসাদটি ঋষভ দেব এবং তারপর শ্রীকৃষ্ণ সংস্কার করেন । কথিত আছে যে, এই প্রাসাদটি নবাব দ্বিতীয় সালারজংয়ের শাসনকালে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, যা পরে 1891 সালে বুন্দেলখণ্ডের টিকামগড়ের মহারাজা প্রতাপ সিং জু দেব এবং তাঁর স্ত্রী বৃষভানু কুনওয়ারি দ্বারা পুনর্নির্মাণ করা হয় । এখানে রাম ও মাতা সীতার তিন জোড়া মূর্তি স্থাপন করা হয়, যেগুলো যথাক্রমে শ্রীকৃষ্ণ, রাজা বিক্রমাদিত্য এবং রানি বৃষভানু কুমারী এনেছিলেন ।