নয়াদিল্লি, 2 জুন:শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে ৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনগুলির কামরায় আটকে রয়েছেন কম করে 500 জন ৷ ফলে এই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে ৷ এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলার পর এদিন রাতেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ৷
উল্লেখ্য, এদিন বালাসোর জেলার বাহাঙ্গা স্টেশনের কাছে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী 12841 আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের 10-12টি কামরা লাইনচ্যুত হয় এবং অন্যলাইনে উপর গিয়ে পড়ে ৷ সেই সময় যশবন্তপুর থেকে হাওড়া যাচ্ছিল 12864 ডাউন হামসাফার এক্সপ্রেস ৷ সেটিও এসে ধাক্কা মারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরাগুলিতে ৷ ফলে ওই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসটিরও 3-4টি কামরা লাইনচ্যুত হয় ৷
রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানও ওড়িশায় যাচ্ছেন ৷ এদিন দুর্ঘটনার পর দুঃখ প্রকাশ করে টুইট করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব । টুইটে তিনি লেখেন,"আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি । এদিন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি ৷" তিনি একই সঙ্গে শোককোস্তব্ধ পরিবারগুলির পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন ৷ জানিয়েছেন দ্রুত ভুবনেশ্বর ও কলকাতা থেকে উদ্ধারকারী দলগুলি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে । এনডিআরএফ, রাজ্য সরকার বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং বিমানবাহিনীকেও উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন:ভয়াবহ দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল একাধিক বগি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে 50
এদিন রেলমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছেন । রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে মৃতদের জন্য 10 লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী । অল্প আঘাতপ্রাপ্তরা পাবেন 50 হাজার টাকা ৷ প্রসঙ্গত এদিনের দুর্ঘটনার পর এখনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলার মতো অবস্থায় নেই ওড়িশা সরকার । রাত দশটা নাগাদ ওড়িশার মুখ্যসচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে ৷