নয়াদিল্লি, 15 অগস্ট: আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে জোট করে লড়তে পারে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি ৷ এই নিয়ে আগামিকাল, বুধবার কংগ্রেসের শীর্ষস্তরে আলোচনা হতে পারে বলে খবর ৷ এআইসিসি-র দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দীপক বাবারিয়া জানিয়েছেন, আগামিকাল দলের প্রধানের সঙ্গে ওই বৈঠক হবে ৷ জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সাংসদ রাহুল গান্ধির মধ্যেই এই বৈঠক হতে চলেছে ৷
গত জুনে বিরোধীরা প্রথম বৈঠক করে ৷ সেই বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালও উপস্থিত ছিলেন ৷ তখনও দুই দলের মধ্যে দুরত্ব অনেকটাই ছিল ৷ কিন্তু সেই দুরত্ব জুলাইয়ের বৈঠকে অনেকটাই কমে ৷ তার প্রমাণ সংসদে দিল্লি বিল নিয়ে সরকারের বিরোধিতায় আগেই দেখা গিয়েছে ৷ এবার আসন সমঝোতার বিষয়টিও সামনে এল ৷ চলতি মাসের শেষে মুম্বইতে বসছে বিরোধীদের তৃতীয় বৈঠক ৷ সেই বৈঠকের আগে কংগ্রেসের অন্দরের এই আলোচনা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ ৷
কিন্তু এই প্রক্রিয়াও একেবারে সহজ হবে না ৷ কারণ, আম আদমি পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে কংগ্রেসকে আগে দলের নেতাদের বোঝাতে হবে ৷ কারণ, জাতীয় প্রেক্ষাপটে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী হিসেবে আপের সঙ্গে আসন সমঝোতা করা অনেক সহজ কংগ্রেসের জন্য ৷ কিন্তু দিল্লির প্রেক্ষাপটে তা একেবারেই সহজ নয় ৷ সেক্ষেত্রে কংগ্রেসকে আগে দিল্লির নেতাদের আপের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে রাজি করাতে হবে ৷
গত 29 মে মল্লিকার্জুন খাড়গে দিল্লির জেপি আগরওয়াল, অজয় মাকেন, দেবেন্দর যাদব, অনিল চৌধুরি, অরবিন্দ সিং লাভলি এবং হারুন ইউসুফের মতো সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ৷ সেখানে আপের সঙ্গে কোনোরকম জোটের বিরোধিতা করা হয় ৷ পরে দিল্লি বিল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ৷ তখনই আগামী লোকসভা নির্বাচনে আপের সঙ্গে সমধঝোতার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় ৷ তার পরও সন্দীপ দিক্ষীতের মতো নেতাদের পার্টি লাইনের বাইরে গিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে ৷
অন্যদিকে কংগ্রেসকেও পাশে পেয়েও দিল্লি বিল পাশ হওয়া আটকাতে পারেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ তার পরও কংগ্রেসকে পাশে থাকার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৷ রাহুল গান্ধি ও মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠিও লেখেন কেজরিওয়াল ৷ তার পর কেজরিওয়ালের প্রতি যে কংগ্রেস কিছুটা হলেও নরম, তা স্পষ্ট হচ্ছে৷ কিন্তু দিল্লি ও পঞ্জাবের নেতারা কি মানবেন হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷
এআইসিসি-র তরফে দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত দীপক বাবরিয়া ইতিমধ্যে দিল্লির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন । 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দিল্লির ভোটের 56 শতাংশ পেয়ে সাতটি আসনই জিতেছিল ৷ 22.5 শতাংশ ভোট কংগ্রেস পেয়েছিল ৷ আপ পেয়েছিল 18 শতাংশ ভোট ৷ এই পরিস্থিতি কংগ্রেস ও আপ হাত মেলালে দিল্লিতে লোকসভায় বিজেপিকে কোণঠাসা করা যাবে বলে কংগ্রেসের একাংশের মত ৷ কিন্তু দিল্লির নেতারা কি রাজি হবেন, সেটাই এখন দেখার ৷
আরও পড়ুন:'ভারতমাতা' প্রত্যেক ভারতীয়ের কণ্ঠস্বর, স্বাধীনতা দিবসে বার্তা রাহুলের