নয়াদিল্লি, 24 মার্চ: সাজা শুনে অহিংসার কথা বলেছিলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) ৷ আর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি বললেন, ‘‘আমি ভারতের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করছি । আমি যেকোনও মূল্য দিতে প্রস্তুত ।’’
শুক্রবার সকালেই সংসদে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি ৷ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি ৷ ইতিমধ্য়ে খবর আসে যে লোকসভার সচিবালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের কথা ৷ তার পর সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি ৷ কারও কোনও প্রশ্নেরই উত্তর তিনি দেননি ৷ এর পর বিকেল 5টা 27 মিনিটে নীরবতা ভাঙেন ৷ দু’লাইনের টুইট করেন ৷ সেখানেই তুলে ধরেন নিজের বক্তব্য ৷
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্ণাটকের একটি সভা থেকে মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Remark on Modi Surname) ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি ৷ বৃহস্পতিবার সেই মামলায় তাঁকে দু’বছরের সাজা দেয় সুরাতের জেলা আদালত ৷
রায়দানের সময় আদালতেই ছিলেন রাহুল ৷ আদালতে প্রবেশ বা বেরিয়ে আসার সময় তিনি কোনও মন্তব্য করেননি ৷ কিন্তু রায়ের বিষয়টি সামনে আসার পরই দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায় ৷ বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে সরব হয় কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা ৷ কিন্তু রাহুল কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি ৷ বরং তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘আমার ধর্ম সত্য ও অহিংসার উপর প্রতিষ্ঠিত । সত্য আমার ঈশ্বর, অহিংসা তা পাওয়ার মাধ্যম । - মহাত্মা গান্ধি ৷’’
রাহুল যেহেতু দু’বছরের সাজা পেয়েছেন, তাই তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে বলে বৃহস্পতিবারই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল ৷ কারণ, 1951 সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কারও দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে সাংসদ বা বিধায়কের পদ খারিজ হয়ে যায় ৷ সেই আইন মেনেই শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের ঘোষণা করেছে লোকসভার সচিবালয় ৷
সেই নিয়ে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে ৷ অন্য বিরোধী নেতারাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে এই ইস্যুতে ৷ কিন্তু রাহুল সেই পথে গেলেন না ৷ বরং ভারতের জন্য তাঁর লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন যে তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন ৷
আরও পড়ুন:রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের