নয়াদিল্লি, 1 ফেব্রুয়ারি:কেন্দ্রের বাজেটে খুশি নন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi Reaction on Union Budget 2023) ৷ এ নিয়ে টুইটারে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন তিনি ৷ রাহুলের মতে, এই বাজেটের কোনও বাস্তব কার্যকারিতা নেই ৷ এই মুহূর্তে দেশের সামনে প্রধান সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম দু'টি হল বেকারত্ব এবং ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি ৷ রাহুলের অভিযোগ, বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন যে বাজেট পেশ করেছেন, তাতে এই দু'টি সমস্যা মোকাবিলা করার কোনও অস্ত্র নেই ৷ বস্তুত, এই বাজেটকে দিশাহীন বলে তোপ দেগেছে কংগ্রেসের এই নেতা ৷ তাঁর ব্যাখ্য়া, কেন্দ্রীয় সরকার মুখে ভবিষ্যতের ভারত গড়ার কথা বললেও, সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর কোনও রোড ম্য়াপই নেই সরকারের কাছে !
এদিন এই ইস্যুতে রাহুল যে টুইট করেছেন, তাতে তিনি লিখেছেন, অমৃতকালের এই বাজেটে নতুন কর্মসংস্থান তৈরির কোনও দিশা নেই ৷ ক্রমশ বেড়ে চলা মূল্যবৃদ্ধিকে কীভাবে বাগে আনা যাবে, তারও কোনও পরিকল্পনা নেই ৷ এই বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার সামাজিক ও আর্থিক বৈষম্য ঘোচানোরও কোনও প্রচেষ্টা করেনি বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধি ৷ তাঁর দাবি, "দেশের 1 শতাংশ ধনী মানুষের কাছে মোট সম্পদের 40 শতাংশ রয়েছে ৷ দরিদ্রতমদের মধ্যে 50 শতাংশ 64 শতাংশ জিএসটি দেন ৷ আর দেশের 42 শতাংশ তরুণ বর্তমানে বেকার ৷ তারপরও প্রধানমন্ত্রীর কোনও হুঁশ নেই !"
আরও পড়ুন:মন্ত্রীদের বেতন-বিদেশ সফরের জন্য বাজেটে কত বরাদ্দ করলেন অর্থমন্ত্রী, জেনে নিন
অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য ইটিভি ভারতকে বলেন, "এক কথায় অন্তঃসারশূন্য বাজেট। বেকারত্ব দূরীকরণে, শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে কিছুই নেই। এতদিন যে কোটি কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার কী হল ? গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার কোনও ইঙ্গিত নেই ? উলটে একশো দিনের কাজ অর্থাৎ মনরেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কাট করা হয়েছে । কৃষকদের স্বার্থও দেখা হয়নি। কৃষি যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার থেকে শুরু করে কীটনাশক কোনও কিছুতেই কৃষকদের দিকটা দেখা হয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণ হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা নেই।"
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসাবে নির্মলা সীতারমন এদিন সংসদে তাঁর পঞ্চম বাজেট পেশ করেন ৷ এবারের এই বাজেট শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দিক দিয়ে নয়, বরং রাজনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ৷ কারণ, দ্বিতীয় মোদি মন্ত্রিসভার এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ ছিল ৷ আগামী বছরই লোকসভা ভোট হবে এদেশে ৷ তারও আগে একাধিক রাজ্যে বাজবে বিধানসভা ভোটের দামামা ৷ তাই এই বাজেট জনমোহিনী হবে বলেই মনে করেছিলেন তথ্যাভিজ্ঞ মহলের একাংশ ৷ এদিকে, বাজেট পেশের পর, রাজনৈতিক মহল তার প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে ৷ বাংলার প্রাক্তন শাসকগোষ্ঠী, অর্থাৎ বামপন্থীরা এই বাজেটে খুশি নন ৷ এবার রাহুল গান্ধিও কার্যত একই সুরে নিজের মত প্রকাশ করলেন ৷