জম্মু, 30 অক্টোবর: জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ সোমবার জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে, কাতারের আটজন প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত আদতে চলমান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে ভারতের অবস্থানের ফল।
ফোনে ইটিভি ভারত-এর প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, আবদুল্লাহ জানান, কাতার এই ইস্যু নিয়ে গত তিন বছর ধরে টানাপোড়েনে ছিল ৷ তবে আশ্চর্যজনকভাবে ভারত যখন ইজরায়েলের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি তাদের প্রতি কিছুটা সহানুভূতি দেখানোর সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছিল, তখন এই রায়টি সামনে এসেছে। 27 অক্টোবর গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ভারত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটে সমর্থন দিতে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে প্রাচ্যের দিকে তাদের স্পষ্ট ঝোঁক দেখা যায় বলেও জানান আবদুল্লাহ।
গত 26 অক্টোবর কাতারের আদালত একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত আট প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রক অবশ্য এই ঘটনার পর জানিয়েছে, তারা এই রায়ে "গভীরভাবে হতবাক" ৷ পাশাপাশি সমস্ত আইনি বিকল্প দিকে খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক ৷ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য কী তা প্রকাশ করা হয়নি ৷ তবে মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তৃতীয় কোনও দেশে গোপন তথ্য সরবরাহের সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছিল।
হামাস এবং প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারতের মনোভাব কাতারের সিদ্ধান্তের কারণ হতে পারে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, “তারা (কাতার) তিন বছর ধরে এই ইস্যুতে বসে ছিল। কিন্তু কিছুই ঘটল না ৷ অথচ এখন রায় এসেছে। কাতার দ্রুত প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তিন বছর অপেক্ষা করার পরে এই রায় আসল ৷ আসলে এটা স্পষ্ট যে, সেখানকার লোকেরাও (কাতার সরকার) আমাদের (ভারতের) অবস্থানের সঙ্গে একমত হতে চাইছে না।"
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ভারত সরকারের মনোভাব নিয়েও এদিন হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, “আমরা (ভারত) সবসময় প্যালেস্তাইনের পক্ষে কথা বলেছি। তবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে সেই অবস্থানের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে, বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট করেছে আমাদের নীতি একই আছে।"