মুম্বই, 28 অক্টোবর : অবশেষে ধরা পড়লেন মুম্বই ক্রুজ মাদক মামলার অন্যতম নিরপেক্ষ সাক্ষী কিরণ গোসাভি ৷ আরিয়ান খান-সহ 11 জনকে আটকের ঘটনায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে নিরপেক্ষ সাক্ষী হয়েছিলেন প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত গোসাভি ৷ পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্তা বলেন, "আমি নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরোর সম্পর্কে কোনও কথা শুনিনি ৷ কিরণ গোসাভিকে 2018-র প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ 2019-এ একটি চার্জ শিট ফাইল করা হয়েছিল ৷" তিনি জানান কিরণ গোসাভি সচিন পাটিল (Sachin Patil) নামে গা ঢাকা দিয়েছিল ৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দেন পুলিশ কমিশনার ৷
কিরণ গোসাভি বিতর্ক
2 অক্টোবর মধ্যরাতে মুম্বইয়ে একটি ক্রুজ শিপে তল্লাশি চালিয়ে আরিয়ান খান (Aryan Khan) সহ 11 জনকে আটক করে এনসিবি (Narcotics Control Bureau) ৷ সেই সুযোগে শাহরুখ-পুত্রের সঙ্গে সেলফি ও ভিডিয়ো তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে "প্রাইভেট গোয়েন্দা" কিরণ গোসাভি (Kiran Gosavi) ৷ এই ছবি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয় ৷ এনসিবি-র পক্ষ থেকে জানানো হয় কিরণ তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে জড়িত কেউ নয় ৷ তাহলে সে কীভাবে আরিয়ান খানের সঙ্গে ছবি তুলল, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক মহলে ৷ এরপর বেপাত্তা হয়ে যায় কিরণ ৷ সে যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, তাই 13 অক্টোবর, বুধবার পুনে সিটি পুলিশ (Pune City Police) তাঁর নামে লুকআউট নোটিস জারি করে ৷
সম্প্রতি, মাদক মামলার আরও এক সাক্ষী প্রভাকর সইল (Prabhakar Sail) জানিয়েছে, সে গোসাভিকে স্যাম ডিসুজা (Sam D'Souza) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আরিয়ান খানের মুক্তির জন্য টাকা চাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে শুনেছে ৷ প্রভাকর জানায় শাহরুখ-পুত্রকে ছাড়াতে তারা নাকি 25 কোটি টাকা চেয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল ৷ কথাগুলির মধ্যে "18 কোটি টাকায় রফা করো ৷ 8 কোটি টাকা সমীর ওয়াংখেড়েকে দিতে হবে ৷" এমন কিছু কথা ছিল ৷ প্রসঙ্গত, সমীর ওয়াংখেড়ে-র (Sameer Wankhede) নেতৃত্বে মুম্বই ক্রুজ শিপে তল্লাশি চলে এবং পরে গ্রেফতার হন আরিয়ান খান ৷ এর জেরে এনসিবির আঞ্চলিক প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Kiran Gosavi : আরিয়ানের সঙ্গে সেলফিতে বিতর্ক, পুরনো মামলায় ‘পলাতক’ কিরণের নামে জারি লুকআউট নোটিস