নয়াদিল্লি, 18 জুন : ভারতে করোনার টিকাকরণ সফল করতে বেসরকারি সংস্থাগুলির অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ তাদের দাবি, বেসরকারি ক্ষেত্রকে এই কাজে নিয়োগ না করা হলে সর্বোচ্চ পরিমাণ মানুষের কাছে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয় ৷
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য শাখার সদস্য ড. ভিকে পল ৷ তিনি জানান, 21 জুন থেকেই কেন্দ্রের নয়া টিকাকরণ নীতি কার্যকর হতে চলেছে ৷ এই পর্ব সফল করতে বেসরকারি উদ্যোগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ, সেটিও একটি নিয়মভিত্তিক প্রক্রিয়া এবং এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলিকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে ৷
আরও পড়ুন :গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে বায়োলজিক্যাল-ই-র করোনা টিকা
এই প্রসঙ্গে ড. পল বলেন, ‘‘বেসরকারি ক্ষেত্রেও টিকাকরণের একটা নিয়মভিত্তিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে ৷ আমার আশা, এর ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রবল উদ্যোগে টিকাকরণের কাজ চলবে এবং তাতে টিকাকরণ কেন্দ্রের সংখ্য়াও বাড়বে ৷’’
করোনার টিকাকরণের এই পর্যায়ে রাজ্যগুলির ভূমিকা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ড. পল ৷ তিনি জানান, টিকাকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ এবং টিকাকরণের সামগ্রিক প্রসার নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যগুলিকেই ৷ যাতে পুরো প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠভাবে সম্পাদন করা সম্ভব হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা ৷
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতা ছাড়া কোনওভাবেই ব্য়াপক হারে টিকাকরণকে সফল করা সম্ভব নয় ৷ বেসরকারি উদ্যোগ না থাকলে বেশি পরিমাণে ভারতীয়কেও টিকাকরণের আওতায় আনা যাবে না ৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বেসরকারি ক্ষেত্রের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে ৷
আরও পড়ুন :হোয়াটস অ্যাপে 'হাই' লিখলেই মিলবে টিকা
উল্লেখ্য, গত 7 জুন করোনার টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নীতি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি জানান, 21 জুনের পর থেকে 18 বছরের বেশি বয়সী সমস্ত ভারতীয়ই বিনামূল্যে টিকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন ৷ সেই ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রের সরকার ৷ একইসঙ্গে মোদি জানান, এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলি 25 শতাংশ টিকা কিনতে পারবে ৷ নির্দিষ্ট মূল্যে সেই টিকা মানুষকে বিক্রি করতে পারবে তারা ৷