দিল্লি, 28 জানুয়ারি : সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসার ঘটনাকে চক্রান্তের আখ্যা দিলেও এখন ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে তত্পর সংযুক্ত কিষান মোর্চা। 30 জানুয়ারি শহিদ দিবসে কৃষকরা একদিনের অনশনের কর্মসুচি নিয়েছে। শহিদ স্মরণে দেশজুড়ে মিছিল করারও ডাক দিয়েছেন কৃষকরা।
দিল্লির হিংসার নৈতিক দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেও সংযুক্ত কিষান মোর্চা দাবি করেছে, যারা হিংসা চালিয়েছে তাদের সঙ্গে এসকেইউ-এর কোনও সম্পর্ক নেই। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে 1 ফেব্রুয়ারি বাজেট দিবসে সংসদ অভিযানের কর্মসূচিও বাতিল করেছে তার।
এসকেইউ-এর সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির এক কৃষক নেতা শিব কুমার শর্মা কাক্কাজি বলেছেন, এসকেইউ ট্র্যাক্টর মিছিলের ডাক দিয়েছিল। সেই কারণে হিংসার নৈতিক দায়িত্ব নিচ্ছে কৃষকরা। তবে দিল্লির হিংসার ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার রাতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার ব্যানারে একটি বৈঠক করেন কৃষক নেতারা। সূত্রের খবর, দিল্লির হিংসায় আন্দোলনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, সেই ভাবমূর্তি উদ্ধারে নয়া কৌশল নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয় বৈঠকে। শহিদ দিবসে অনশন করে শান্তি ও অহিংসার বার্তা দিতে চান কৃষকরা।
আরও পড়ুন: কাল সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের ডাক 16 বিরোধী দলের
অপরদিকে, দিল্লির হিংসার নিন্দা করে গাজিপুর ও চিলা সীমানার আন্দোলনস্থান থেকে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্ট্রীয় কিষান মজদুর সংগঠন ও ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন। তবে তারা এসকেইউ-এর ছাতার তলায় না-থেকে পৃথকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য কৃষক সংগঠনগুলিও আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই রয়েছে। দিল্লির হিংসার ঘটনায় এফআইআর-এ নাম রয়েছে 37 জন কৃষক নেতার।
তিন নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে 28 নভেম্বর থেকে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় ক্যাম্প করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা।