নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর:পুলিশ ফোর্সের মতো দায়িত্বশীল নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নৈতিক আচরণ সবার আগে জুরুরি ৷ পকসো মামলায় প্রমাণের অভাবে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তির পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের ৷ মধ্যপ্রদেশে 2015 সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে সেই ব্যক্তি পুলিশে কনস্টেবল পদে সুযোগ পান ৷ কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে আগে পকসো মামলা থাকায়, ওই ব্যক্তির নিয়োগ বাতিল করে মধ্যপ্রদেশ সরকার ৷
বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘মামলাকারীকে নিম্ন আদালত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ৷ কারণ, পুলিশের তরফে যে মামলা তৈরি করা হয়েছিল, তা নাবালিকা নির্যাতিতা সমর্থন করেনি ৷ এমনকি মামলার সাক্ষীরা শেষ মুহূর্তে বয়ান বদল করেছিল ৷ এই পরিস্থিতি এই মামলার আবেদনকারী চাইছে তাঁকে একটি ফৌজদারি মামলা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়া হোক ৷ এটা কখনই সম্ভব নয় ৷’’
2015 সালের পকসো মামলায় মূল অভিযুক্ত (বর্তমান মামলাকারী) এবং তাঁর অন্যান্য সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে আটকে রাখা এবং তাঁর সম্ভ্রম নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে ৷ কিন্তু, সেই ঘটনায় পুলিশের তরফে পেশ করা চার্জশিট মানতে চাননি নির্যাতিতা ৷ এমনকি সেই মামলার সাক্ষীরাও বয়ান বদল করে ৷ যার ফলে নিম্ন আদালত মূল অভিযুক্তকে মুক্তি দেয় ৷