অযোধ্য়া, 17 জানুয়ারি: মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে এখনও 6 দিন বাকি ৷ তার আগে অবশ্য 7 দিনের বিশেষ পূজার্চনার পাশাপাশি একাধিক অনুষ্ঠানও শুরু হয়েছে অযোধ্য়ায় ৷ বুধবার অযোধ্য়ায় ভগবান রামের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রাও হয় ৷ এরপর মন্দিরের মূল গর্ভগৃহে যেখানে রামলালা বিরাজমান হবেন সেই বেদীরও পুজো হয় ৷ শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্য ও নির্মোহী আখড়ার মহন্ত দিনেন্দ্র দাস এবং পুরোহিত সুনীল দাস এদিন রাম মন্দিরের 'গর্ভগৃহে'র বেদীর আনুষ্ঠানিক পুজো করেন ৷
অন্যদিকে, শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র এদিন রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আগে সরযু ঘাটেও পুজো করছেন ৷ পাশাপাশি 9 জন মহিলার একটি দল 22 জানুয়ারি 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানের জন্য ধর্মীয় আচারের জন্য সরয়ু নদী থেকে অযোধ্যার রাম মন্দির পর্যন্ত 'কলশ জল যাত্রা'ও করেন ৷
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আগে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে বুধবার অযোধ্যার করসেবকপুরম এলাকা পরিদর্শন করেন। করসেবকপুরম হল রাম জন্মভূমির স্থান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অযোধ্যার একটি এলাকা যেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা রাম মন্দির আন্দোলনের সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন ৷ গ্রেফতার এবং পুলিশের গুলি থেকে বাঁচার চেষ্টাও করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্য কামেশ্বর চৌপল বুধবার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে বিজেপির অনুষ্ঠান বলার জন্য বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেছেন। কামেশ্বর চৌপল এএনআইকে বলেন, "1949 সালে যখন রাম মূর্তি সামনে আসে সেই সময় কংগ্রেস সরকারে ছিল। কেউ নেহরুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি। কেন তারা সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি ? তারা যদি রাম মন্দির তৈরি করত তাহলে বিজেপিকে কিছু বলার প্রয়োজন হত না।” তিনি আরও বলেন, "রাহুল গান্ধি এবং কংগ্রেস ভারতের আত্মাকে বুঝতে পারেন না। কংগ্রেস নিজের প্রশংসা করে যে তারা 1986 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মন্দিরের তালা খুলেছিল ৷ তারা তখন মন্দির তৈরি করে সমস্ত কৃতিত্বই নিতে পারত।"