নয়াদিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর: পুরনো সংসদ ভবনে সোমবার শেষবার অধিবেশন বসেছে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ দিয়ে শুরু হয় এ দিনের অধিবেশন ৷ সেখানে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংসদের গরিমার কথা বারবার উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ৷ তার মধ্যেও জরুরি অবস্থা, তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরির বিষয় তুলে কৌশলে কংগ্রসকে বিঁধেছেন তিনি ৷
উল্লেখ্য, সোমবার সংসদে শুরু হয়েছে বিশেষ অধিবেশন ৷ চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত৷ তবে প্রথমদিন সংসদের পুরনো ভবনে অধিবেশন চলছে ৷ আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে সংসদের নতুন ভবনে অধিবেশন বসবে ৷ সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন পুরনো সংসদ ভবনের তাৎপর্যের কথা স্বীকার করে ৷ তিনি জানান, ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকার সময় থেকে মজবুত পরিস্থিতির সাক্ষী এই সংসদ ভবন ৷ সংসদ ভবনকে তিনি গণতান্ত্রিক আদর্শে একটি জাতির বিশ্বাসের অদম্য চেতনার সাক্ষী বলেও উল্লেখ করেন । পাশাপাশি জানান, গণতন্ত্রের উপর আক্রমণেরও সাক্ষী এই সংসদ ভবন ৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ জরুরি অবস্থা এবং গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ দেখেছে ৷ কিন্তু এই সংসদও জনগণের শক্তি এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস দেখেছে । এই দেশ প্রত্যক্ষ করেছে যে কীভাবে এই দেশের মানুষ জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি সংগ্রহ করেছিল এবং গণতন্ত্রের উপর তাদের আস্থা রেখেছিল ।’’
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের সময়ের কথা উল্লেখ করেন৷ চন্দ্রশেখরের কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন ৷ তবে নাম না করে তিনি এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য বেশ করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ মাত্র 64 জন সাংসদ-সহ একজন প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন এবং দেখেছে যে বৃহত্তম দল বিরোধী পক্ষে বসে আছে ৷”
আরও পড়ুন:'কান্নাকাটি করার অনেক সময় পাবেন,' পুরনো সংসদের শেষ দিনে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির
প্রসঙ্গত, 64 জন সাংসদ নিয়ে চন্দ্রশেখর জনতা দল থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ তৈরি করেন সমাজবাদী জনতা পার্টি৷ কারণ, কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় জনতা দলের একাংশের আপত্তি ছিল ৷ সেই আপত্তি উড়িয়ে কংগ্রেসের সমর্থনে 64 জন সাংসদকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন চন্দ্রশেখর ৷ কিন্তু পরে কংগ্রেস তাঁর সরকারের দিকে রাজীব গান্ধির বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তি করার অভিযোগ তোলে ৷ সেই কারণে কংগ্রেস তাঁর সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ৷ ফলে 1991 সালের 6 মার্চ চন্দ্রশেখরের সরকারের পতন হয় ৷