স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর গলায় মণিপুর উদ্বেগ নয়াদিল্লি, 15 অগস্ট: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর-পূর্বের কয়েকটি জায়গা এবং ভারতের অন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৷ বিশেষত মণিপুরে ৷ মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে এই কথা জানালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এদিন তিনি স্বীকার করে নেন, এই হিংসার ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ৷
বাদল অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে সর্বসাকুল্যে আড়াই থেকে তিন মিনিট বলেছিলেন ৷ অশান্ত মণিপুর নিয়ে প্রথমবার তাঁর মন্তব্য শোনা গিয়েছিল 20 জুলাই, সংসদের বাদল অধিবেশন প্রথম দিনে ৷ এদিন সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন, মণিপুরে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক এবং দোষীদের কঠিন সাজা হবে ৷ এরপর বিরোধী শিবির দাবি তোলে, সংসদের অভ্যন্তরে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাতে তিনি রাজি হননি ৷ পরে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম প্রধানতম দল কংগ্রেস মণিপুর ইস্যুতে অনাস্থা প্রস্তাব আনে ৷
আজ লালকেল্লা থেকে দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় ফের মণিপুর নিয়ে মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "মহিলাদের সম্মান ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে ৷" তবে তাঁর দাবি, এখন মণিপুর থেকে লাগাতার শান্তির খবর আসছে ৷ সেখানে কিছুটা শান্তি ফিরেছে ৷ উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার একসঙ্গে কাজ করছে ৷ তিনি আশ্বস্ত করেন, ভারত মণিপুরের সঙ্গে আছে ৷ সেখানে শান্তি ফিরেছে ৷
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী 'কংগ্রেস ফোবিয়া'য় আক্রান্ত, তীব্র আক্রমণ হাত শিবিরের
তিনি বলেন, "গত কয়েকদিনে মণিপুরে শান্তি ফিরেছে ৷ সেখানকার মানুষ যেন এই শান্তির পরিবেশ এগিয়ে নিয়ে যায় ৷ শান্তিতেই সমাধানের রাস্তা বেরবে ৷" গত 3 মে থেকে হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে মণিপুরে ৷ মেইতেই ও কুকি- এই দুই জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি ৷ এখনও পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় 160 জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ৷ ঘরদোর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ ৷ মেইতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ এর প্রতিবাদে একটি মিছিল করে কুকি সম্প্রদায় ৷ সেখান থেকেই হিংসার সূত্রপাত ৷