জয়পুর, 24 অগস্ট: বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কঠিন পরিশ্রমের ফলেই তা সম্ভব হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো বার্তায় বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ জয়পুরে জি-20 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মন্ত্রীদের নিয়ে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয় ৷
সেখানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "রাজস্থানের জয়পুর বিভিন্ন শিল্পপতিদের জন্য সুপরিচিত ৷ ইতিহাসে দেখা যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে দিয়ে চিন্তাভাবনার আদানপ্রদান হয়েছে, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিরও ভাগ করে নেওয়া হয়েছে ৷ এতে মানুষ একে অপরের আরও কাছাকাছি এসেছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "বাণিজ্য এবং বিশ্বায়ন লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যতা থেকে বের করে এনেছে ৷ ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের আশার আলো ৷ এই অর্থনীতিতে বিশ্বাস রাখছে দুনিয়া ৷ আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি ৷"
আপাতত ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেখান থেকে এদিন তিনি জানান, তাঁর সরকার 'মেকিং ইন্ডিয়া'য় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ আগামিদিনে ভারত পঞ্চম থেকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে উন্নীত হবে ৷
এই প্রসঙ্গে জি-20 গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,"আমরা নীতিগত বিষয়ে স্থিরতা এনেছি ৷ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হয়ে উঠবে ৷ এর জন্য আমরা দায়বদ্ধ ৷ বিশ্ব অতিমারির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ৷ সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাও আছে ৷ এগুলি বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ এবং সেই পরীক্ষাগুলি উতরেছে দুনিয়া ৷ জি-20 গোষ্ঠীর সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বাসের জায়গা গড়ে তোলাটা আমাদের দায়িত্ব ৷ ভবিষ্যতে আরও অনেক ধাক্কা আসতে পারে ৷ তার মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে সহনশীল এবং সর্বব্যাপী মূল্যবোধের একটা শৃঙ্খল আমাদের গড়ে তোলা উচিত ৷"
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে অভিনন্দন জানালেন বিশ্বনেতারা! 'সমগ্র মানবজাতির সাফল্য', মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভিডিয়ো বার্তায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিতে জোর দেন ৷ তিনি জানান, এই ক্ষেত্রে 60-70 শতাংশ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ৷ এটা বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার বা জিডিপির 50 শতাংশ ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির আমাদের সাহায্য প্রয়োজন ৷ আর আমাদের কাছে এমএসএমই-র অর্থ অতি-ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পসংস্থাগুলিকে যতটা বেশি পারা যায় সাহায্য করা ৷"