নয়াদিল্লি, 3 এপ্রিল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধি, কথায় কথায় বিজেপি বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই-সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন ৷ কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগকে যে তিনি গুরুত্বই দেন না, তা সোমবার কার্যত বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরোর হীরকজয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি বললেন, ‘‘দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সিবিআইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে ৷’’
এদিন সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সামনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউপিএ জমানার দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলেন ৷ তবে তিনি একবারও পূর্বতন কোনও সরকার বা সেই সময় শাসক দলের নাম উল্লেখ করেননি ৷ তবে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি যখন স্বর্ণজয়ন্তী পালন করছিল, তখন দেশ দুর্নীতিতে ডুবে ছিল ৷ কে কত টাকার দুর্নীতি করবে, সেই নিয়ে তখন প্রতিযোগিতা চলত ৷
এর পর প্রধানমনন্ত্রী ব্যাখ্য়া দিয়েছেন যে 2014 সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর কীভাবে পরিস্থিতি পালটে গেল ৷ আর সেই সূত্রেই তিনি সিবিআইয়ের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ৷ এখনও যে কোনও অধরা তদন্তের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের উপর ভরসা রাখা, সেই কথা জানিয়েছেন মোদি ৷ পাশাপাশি বলেছেন, ‘‘দুর্নীতিই ভারতের গণতন্ত্র ও বিচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা ৷ তাই সিবিআইকেই দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে ৷’’
প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ বারবার উঠেছে ৷ সিবিআইকে বিজেপি রাজনৈতিক যন্ত্রে পরিণত করেছে বলেও বারবার অভিযোগ ওঠে ৷ কারণ, 2014 সালের পর থেকে সিবিআই যে ক’টি গুরুত্ব দুর্নীতির মামলার তদন্ত করেছে, তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জড়িয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালীর নাম ৷ গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে৷ বাংলায় যেমন অনুব্রত মণ্ডল থেকে মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে ৷ বাংলার বাইরেও রয়েছে অনেক নাম ৷ সম্প্রতি দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা আম আদমি পার্টির মণীশ সিসোদিয়া গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোনও না কোনও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ৷