নয়াদিল্লি, 16 অক্টোবর: ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রবিবার দেশের দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে 2014-পূর্ববর্তী 'ফোন ব্যাংকিং'কের জায়গায় 'ডিজিটাল ব্যাংকিং' চালু করেছে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী ৷
75টি জেলায় এই ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিটের (Digital Banking Unit, DBUs) উদ্বোধন করেন তিনি ৷ এ নিয়ে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে আক্রমণও করেন মোদি ৷ তিনি জানান, 'ফোন ব্যাংকিং'য়ের (phone banking) আওতায় ব্যাংকগুলিকে ফোনে নির্দেশ দেওয়া হত ৷ তারা কাদের ঋণ দেবে এবং কোন শর্তে দেবে ৷ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সরাসরি ব্যাংকিং পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত ৷
ব্যাংক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'ব্যাংকিং সেক্টর সুপ্রশাসন এবং আরও ভালো পরিষেবা একটা মাধ্যম হয়ে উঠেছে ৷ ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (Direct Benefit Transfer, DBT) স্বচ্ছতা এনেছে ৷'
এ প্রসঙ্গে তিনি পিএম-কিষাণের উল্লেখ করে জানান, ডিবিটি-র মাধ্যমে মোদি সরকার এখনও পর্যন্ত পিএম কিষাণ প্রকল্পের (PM-KISAN scheme) 25 লক্ষ কোটি টাকা স্থানান্তরিত করেছে ৷ সোমবার আরেকটি ইনস্টলমেন্ট স্থানান্তরিত হবে ৷
আরও পড়ুন: Union Budget 2022: দেশের নিজস্ব ডিজিটাল রুপি আনছে আরবিআই, জেনে নিন এটা ঠিক কী ?
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi, PM-KISAN scheme) আওতায় প্রতি বছর যোগ্য কৃষকের পরিবারগুলি 6 হাজার টাকার সুবিধে পাচ্ছে ৷ তিনটি সমান ইনস্টলমেন্টে 2 হাজার টাকা করে দেওয়া হয় তাদের ৷ ডিবিআই-এর গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, এতে নাগরিকেরা ব্যাংকিং পরিষেবার অভিজ্ঞতা আরও বাড়বে ৷
স্বাধীনতার 75 বছর উপলক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন 2022-23 অর্থবর্ষের বাজেটে 75টি ডিবিইউ স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন ৷ দেশের প্রতিটি কোনায় যেন ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সুবিধে পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত করতে ডিবিইউ স্থাপন করা হয়েছে ৷ পাবলিক সেক্টরে 11টি ব্যাংক, প্রাইভেট সেক্টরে 12টি এবং একটি ছোট ফিনান্স ব্যাংক এই প্রচেষ্টায় সামিল হয়েছে ৷
ডিবিইউ-এর মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তি সহজেই নিজের সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন ৷ অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, তা দেখতে পারবেন ৷ ব্যাংকের পাসবই প্রিন্টের সুবিধে, টাকা স্থানান্তর, ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ, ঋণের আবেদন, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে ৷ এমনকী বিল, কর জমাও করতে পারবেন গ্রাহক ৷
সারা বছর ধরে ব্যাংকের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং পরিষেবা পাবেন যে কোনও গ্রাহক ৷ আর তা মিলবে আর্থিক সীমার মধ্যেই ৷ এছাড়া 'ডিজিটাল ফিনান্স লিটারেসি' (digital financial literacy) অর্থাৎ ডিজিটাল ফিনান্স কী, তা সম্পর্কেও জানতে পারবেন সাধারণ মানুষ ৷ সাইবার সিকিওরিটি নিয়ে সতর্কতা এবং সুরক্ষা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে দেশজুড়ে ৷