নয়াদিল্লি, 12 অগস্ট : সংসদের (Parliament) মুখোমুখি হতে চান না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ৷ এই ভাষাতেই মোদি-শাহকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien) ৷ সংসদের বাদল অধিবেশন যে ভাবে চালানো হয়েছে তাতে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি ৷ মোদি ও শাহ কেউই সংসদে এসে বিরোধীদের বক্তব্য শোনার সময় পাননি বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি ৷ ওবিসি বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনার সময়ও মোদি-শাহ কীভাবে সংসদে অনুপস্থিত থাকলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ ৷
সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করে ডেরেক বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোথায় ছিলেন ? আমাদের কথা শোনার জন্য তাঁরা কেন সংসদে 2-1 মিনিট উপস্থিত থাকার সময় পেলেন না ? প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও এইচডি দেবগৌড়া কক্ষে উপস্থিত থাকলেন এবং সক্রিয়ভাবে অধিবেশনে অংশগ্রহণ করলেন ৷"
আরও পড়ুন:7 central ministers press meet : পরিকল্পিতভাবে সংসদ অচল, ক্ষমা চাক বিরোধীরা ; দাবি 7 কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
সংসদে মোদির অনুপস্থিতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, "ওবিসি বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে না-এলে কীভাবে প্রশ্নগুলির উত্তর মিলবে ? গত চার-পাঁচ বছরে কেন প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি ? গত 4-5 বছরে 21টি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মনমোহন সিং ৷ আমাদের প্রশ্ন করার আগে সরকারের প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত ৷"
আরও পড়ুন:Opposition leaders march: কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ বিরোধীদের
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক চাইলেও তার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে তোপ দেগে ডেরেক বলেন, "প্রথম দিন থেকে আমরা এই দাবি জানিয়ে এসেছি ৷ কেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদ থেকে পালিয়ে বেড়ালেন ? তাঁরা সংসদের মুখোমুখি হতে চান না ৷"
কোনও বিতর্ক ছাড়াই বাদল অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় 39টি বিল পাশ হয়ে গিয়েছে বলে জানান তৃণমূল সাংসদ ৷ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, "এ ভাবে কোনও গণতান্ত্রিক দেশ চলে না ৷ প্রতি বিল গড়ে 10 মিনিটে পাশ করানো হয়েছে ৷ আর আপনারা বলছেন যে বিরোধীরা অধিবেশনে বাধা সৃষ্টি করছে ৷"
আরও পড়ুন:Women MPs Manhandled: মহিলা সাংসদদের ধাক্কাধাক্কি, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ কেন্দ্রের
এ প্রসঙ্গে 2014 সালের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তখনও 60 থেকে 70 শতাংশ বিল পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হত ৷ যদিও বর্তমানে মাত্র 11 শতাংশ বিল কমিটিতে পাঠানো হয় ৷ তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, "স্বাধীনতার পর প্রথম 30 বছর প্রতি 10টি বিলের জন্য একটি অর্ডিন্যান্স জারি হত, আর এখন প্রতি 10টি বিলের জন্য চারটি অর্ডিন্যান্স জারি হয় ৷ জরুরি ভিত্তিতে আনা আইন প্রণয়নকে সাধারণের পর্যায়ের নিয়ে এসেছে বিজেপির সরকার ৷"