নয়াদিল্লি, 3 সেপ্টেম্বর:আগামী 9-10 সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বসতে চলছে জি-20 শীর্ষ সম্মেলন ৷ তার আগে রবিবার সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অরুণাচল প্রশ্নে ফের একবার তাঁর সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ জানালেন ভারতের অংশ হিসেবেই অরুণাচলে জি20 গোষ্ঠীর বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল ৷
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, পাকিস্তান-চিনের মতো দেশের আপত্তি সত্ত্বেও জি20'র বিভিন্ন বৈঠকের জন্য কাশ্মীর-অরুণাচলের মতো স্থান বেছে নেওয়া হয়েছে, এর মাধ্যমে সরকার কী বার্তা দিতে চাইছে ?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের এত বিপুল, সুন্দর ও বৈচিত্র্যপূর্ণ একটি দেশ ৷ যখন জি-20 এর বৈঠক হচ্ছে তখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেই বৈঠকগুলির আয়োজন করা হবে, সেটাই কি স্বাভাবিক নয়?" মনে করা হচ্ছে অরুণাচলকে তাদের অংশ বলে দাবি করে চিনের সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, সেই বিতর্কে এভাবেই চিনের নাম না-করে পালটা জবাব দিলেন মোদি ৷ বুঝিয়ে দিলেন, অরুণাচল ভারতেরই অংশ ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে কড়া বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে চিনের উদ্দেশ্যে ৷
আরও পড়ুন: আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশ্বের ভবিষ্যতের রোডম্যাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে: জি20-র আগে বড় সাক্ষাৎকার মোদির
চলতি মাসেই রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের বার্ষিক সাধারণ সম্মেলন ৷ তার আগে রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারের পক্ষেও সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি জানিয়েছেন, বিংশ শতাব্দীর চিন্তাধারা নিয়ে একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীর কাজ করা যাবে না ৷ তাই প্রতিষ্ঠানগুলিরও উচিত সময়ের সঙ্গে নিজেকে সংস্কার করার ৷ বর্তমান পৃথিবীর এই পরিবর্তনশীলতা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে মান্যতা দিতে হবে ৷ এই সংস্থাগুলির পরিসরও বাড়াতে হবে ৷ সবপক্ষই যাতে তাদের দাবি তুলে ধরার সমান সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে ৷ প্রধানমন্ত্রীর মতে, যখন বড় আন্তর্জাতিক মঞ্চে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হয় না তখনই ছোট অথবা আঞ্চলিক মঞ্চগুলি গুরুত্ব পেতে শুরু করে ৷ জি20 গোষ্ঠীতে আফ্রিকান ইউনিয়নের সংযুক্তির পক্ষেও সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷