নয়াদিল্লি, 1 নভেম্বর: সমলিঙ্গ-বিয়ের আইনি স্বীকৃতি না দেওয়া নিয়ে গত 17 অক্টোবর এক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেই রায় আরও একবার পর্যালোচনা করে দেখার জন্য শীর্ষ আদালতে নতুন একটি আবেদন জমা পড়ল ৷ উদিত সুদ নামে একজন এই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে নথিভুক্ত করেছেন ৷ সমলিঙ্গ-বিয়ে সংক্রান্ত আগের মামলাতেও তিনি আবেদনকারী ছিলেন ৷
গত 17 অক্টোবর দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই নিয়ে রায় দেয় ৷ সেদিন সুপ্রিম কোর্ট চারটি আলাদা রায় দেয় ৷ কিন্তু আইনি সংস্থান না থাকায় সমলিঙ্গ-বিয়ের বিষয়টির বৈধতা দেয়নি শীর্ষ আদালত ৷
রায়ে পাঁচ বিচারপতিই জানিয়েছিলেন যে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের অধীনে সমলিঙ্গ-বিয়ের অনুমতি দেওয়া যাবে না ৷ পুরো বিষয়টি সংসদের এক্তিয়ারভুক্ত ৷ তারা যদি আইন তৈরি করে, তাহলে এই নিয়ে আইন হতে পারে ৷ তবে কিউআর কাপলদের সন্তান দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যান বিচারপতিরা ৷ তিনজন দত্তক নেওয়ার অধিকার দেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন ৷ দু’জন পক্ষে ছিলেন ৷ ফলে তাঁদেরও সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার আদালতের রায়ে মেলেনি ৷
তাঁর রায়ে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্র, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তাঁর নির্দেশ ছিল, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে কিউআর কাপলরা তাঁদের লিঙ্গ পরিচয় বা যৌন অভিমুখতার কারণে বৈষম্যের শিকার না হন ৷ বিষয়টি সচেতনতা তৈরির কথাও বলে সুপ্রিম কোর্ট ৷
বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট নিজের এবং বিচারপতি হিমা কোহলির জন্য একটি 89 পাতার রায় লিখেছিলেন ৷ সেখানে দেশের প্রধান বিচারপতির তরফ থেকে আসা কিছু সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন ৷ তার মধ্য়েই কিউআর কাপলদের সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়টি ছিল ৷ বিচারপতি পিএস নরসিমাও একটি পৃথক রায়ে বিচারপতি ভাটের মতামতের সঙ্গে একমত হয়েছেন ।
উল্লেখ্য, 2018 সালের সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের ক্ষেত্রে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দিয়েছিল ৷ তার পরই সমলিঙ্গ বিবাহের বিষয়টিও সামনে আসে ৷ বিয়ের স্বীকৃতির জন্যই সুুপ্রিম কোর্টে মামলা হয় ৷ কিন্তু আদালত সেই স্বীকৃতি দেয়নি ৷ ফলে আদালতের সেই রায় আবার পর্যালোচনার আবেদন জমা পড়েছে ৷ এখন দেখার আদালত এবার কী রায় দেয় !
আরও পড়ুন:সমলিঙ্গ বিয়ে শহুরে অভিজাত দৃষ্টিভঙ্গি নয়, কেন্দ্রের দাবি না মেনে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট