আমেদাবাদ, 11 মে : একদিকে যেমন করোনার টিকা নিতে হাসপাতালের বাইরে লাইন ৷ তেমনই অন্যদিকে লাইন গোশালার বাইরে ৷ লক্ষ্য একটাই, করোনা থেকে কীভাবে বাঁচা যায় ৷ কেউ যখন টিকার উপর ভরসা রাখছেন, আবার কারও ভরসা গোমূত্র থেকে গোবর ৷
চারিদিকে করোনার ত্রাস ৷ আর সেই ত্রাস থেকে বাঁচতে, যে যা বলছে, তাই মেনে নিচ্ছেন জনগণ ৷ একটাই চিন্তা, যদি এটা করলে বেঁচে যাই করোনা থেকে ৷ আর এভাবেই জন্ম নিচ্ছে অন্ধ বিশ্বাসের ৷ বৈজ্ঞানিক কোনও প্রমাণ ছাড়াই, বিভিন্ন টোটকার প্রয়োগ চলছে চারদিকে ৷
বিভিন্ন জায়গায় করোনা পুজো তো ছিলই ৷ একদল রাজনৈতিক নেতা গত বছর থেকে করোনা থেকে বাঁচার জন্য গো মূত্রের উপকারিতার কথা বলেছিলেন ৷ এবারও প্রকোপ বাড়তে উত্তর প্রদেশের এক রাজনৈতিক নেতা ঠান্ডা জলে গো মূত্র পানের উপকারিতা বলেছেন ৷ আর এবার নতুন টোটকা ৷ গায়ে গোবরের প্রলেপ দিয়ে স্নান করলেই নাকি করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ৷ আর এই পথ্য চাউর হওয়াতেই গুজরাতের অলিতে গলিতে এই চিত্র ৷ গোশালার বাইরে দেখা দিয়েছে লম্বা লাইন ৷ এমনকি অনেক জনৈক চিকিৎসকও করোনা থেকে বাঁচতে এই পথ বেছে নিয়েছেন ৷ বিশ্বাসীদের মতে কি করতে হবে, প্রথমে আপনাকে গিয়ে গোবর ও গোমূত্র মাখতে হবে ৷ তা শুকিয়ে গেলে গরুকে আলিঙ্গন করে, প্রণাম করতে হবে ৷ তারপর গোবর শুকিয়ে গেলে গরুর দুধ দিয়ে করতে হবে স্নান ৷ এতেই নাকি দূরে থাকবে মারণ ভাইরাস ৷
আরও পড়ুন : 5 দিনে 790 জন উপসর্গহীনের মৃত্যু কর্নাটকে, আপনি সুরক্ষিত তো?
আর এই পন্থা ব্যবহারে যখন নিজের থেকে করোনাকে দূরে রাখতে চাইছে মানুষ ৷ ঠিক তখনই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল ৷ তাঁদের কথায়, গো মূত্র বা গোবর থেকে করোনা বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে ওঠে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ এটি একেবারেই নিজেদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে করছে মানুষ , এমনটাই মত চিকিৎসক মহলের ৷ উল্টোদিকে গোবর মাখলে কিনবা গোমূত্র পান করলে, পশুর শরীরের বিভিন্ন রোগ, মানব শরীরে বাসা বাধতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের ৷