পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে করোনিলে ছাড়পত্রের দাবি রামদেবের, অস্বীকার হু-র

2020-র জুলাইয়েও বিতর্কে জড়িয়েছিল পতঞ্জলির করোনিল । সেই সময় করোনিলকে কোরোনার ওযুধ বলে দাবি করেছিল তারা । যদিও তখন কেন্দ্রীয় আয়ুষমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, করোনিল রোগ প্রতিরোধক বা শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করতে পারে, কোরোনা সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে নয় ৷

coronil
করোনিলের গবেষণাপত্র প্রকাশে রামদেব, উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

By

Published : Feb 22, 2021, 7:49 AM IST

দিল্লি, 22 ফেব্রুয়ারি : পতঞ্জলির করোনিল-এর ছাড়পত্র দিয়েছে হু (WHO) । 19 ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের উপস্থিতিতে করোনিল-এর গবেষণাপত্র প্রকাশের সময় এমনটাই দাবি করেন যোগগুরু রামদেব । কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে হু-এর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই রকম কোনও ওষুধকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি । সব মিলিয়ে ফের বিতর্কে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি ৷

করোনিল এক ধরনের ওষুধ, যা কোরোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ করতে পারে । শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে । পতঞ্জলি থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে । 19 ফেব্রুয়ারি করোনিলের গবেষণাপত্র প্রকাশের অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করিও । দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা রামদেব জানিয়ে দেন, হু-এর ছাড়পত্র স্কিমের নিয়ম অনুযায়ী, করোনিল সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশনের আয়ুষ বিভাগের ওষুধ জাতীয় পণ্যের (সিওপিপি) ছাড়পত্র পেয়েছে । এমনকী, অনুষ্ঠানে একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল করোনিল হু-র কাছ থেকে ওষুধজাতীয় পণ্যের শংসাপত্র (সিওপিপি) পেয়েছে এবং হু-র গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস (জিএমপি) বিভাগ থেকেও অনুমোদন পেয়েছে । যারা মূলত ওষুধের এবং চিকিৎসা সামগ্রীর গুণমান বিচারের দায়িত্বে রয়েছে ।

এরপরেই হু-এর তরফে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, হু কোভিড 19-এর চিকিৎসার জন্য কোনওরকম আয়ুর্বেদিক ওষুধকে ছাড়পত্র দেয়নি । যদিও টুইটারে পতঞ্জলির নাম নেওয়া হয়নি । এরপরেই পতঞ্জলির কর্ণধার আচার্য বালকৃষ্ণ টুইট করেন । লেখেন, "বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করোনিলকে সিওপিপি ও জিএমপির ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই । বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সুস্থতার জন্য কাজ করে চলেছে হু ।"

আরও পড়ুন, ''কোরোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে 8-15 দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে লকডাউন''

যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা । শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী টুইটে লেখেন, " আমি আশা করি আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনিলের প্রচারের জন্য এই জাতীয় দাবি দিয়ে দেশবাসীকে বিব্রত করা বন্ধ করবেন । আমি আয়ুর্বেদে বিশ্বাস করি কিন্তু কোরোনার বিরুদ্ধে চিকিৎসার জন্য হু ছাড়পত্র না থাকা সত্ত্বেও তার প্রচার করা দেশবাসীকে প্রতারণা, বিভ্রান্ত করা ছাড়া কিছু নয় । "

2020-র জুলাইয়েও বিতর্কে জড়িয়েছিল পতঞ্জলির করোনিল । সেই সময় করোনিলকে করোনার ওযুধ বলে দাবি করেছিল সংস্থা । সেইসময় আয়ুষমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, করোনিল একমাত্র রোগ প্রতিরোধক বা শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করতে পারে, কোরোনা সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে নয় ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details