নয়াদিল্লি, 13 ডিসেম্বর: সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার প্রতিবাদ করলেন ডি দেবরাজু গৌড়া ৷ বুধবার লোকসভার ভিতরে ঢুকে যে দু’জন হামলা চালিয়েছে, সেই দু’জনের একজন ডি মনোরঞ্জন ৷ দেবরাজু মনোরঞ্জনের বাবা ৷ তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করলেও জানিয়েছেন যে তাঁর ছেলে নির্দোষ ৷
ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "আমাদের পরিবার কৃষক পরিবার ৷ সংসদে যা কিছু ঘটেছে আমি তার নিন্দা জানাই । আমার ছেলে একজন বিই ইঞ্জিনিয়র । সে একজন ভালো মানুষ এবং তার কোনও খারাপ অভ্যাস নেই । সে সবসময় সমাজের জন্য ভালো করতে চায়...আমরা জানি না কীভাবে সে এটা করল । আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই ৷"
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুর 1টা নাগাদ এক যুবক লোকসভার গ্য়ালারি থেকে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে লাফ দেন ৷ অন্যদিকে গ্যালারি থেকে একজন হলুদ রংয়ের গ্যাস ছড়িয়ে দেন ৷ পরে জানা যায় এই দু’জনের মধ্যে একজন সাগর শর্মা ও দ্বিতীয় জন ডি মনোরঞ্জন ৷ সাগর শর্মার বাবার নাম শঙ্করলাল শর্মা ও মনোরঞ্জনের বাবার নাম ডি দেবরাজু গৌড়া ৷
এই ঘটনা যখন ভিতরে হচ্ছে, সেই সময় সংসদ ভবন চত্বরের মধ্যে থাকা পরিবহণ ভবনের সামনে দু’জন বিক্ষোভ দেখান ৷ তাঁদের হাতেও একই ধরনের গ্য়াসের ক্যান ছিল ৷ তাঁদের পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় ৷ তাঁদের একজনের নাম অমল শিন্ডে ৷ তিনি মহারাষ্ট্রের লাতুরের বাসিন্দা৷ দ্বিতীয়জন নীলম ৷ বছর 42-এর নীলম হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা ৷ তাঁকে স্লোগানও দিতে দেখা যায় ৷ হিন্দিতে তিনি বলছিলেন, তানাশাহী নেহি চলেগি৷ যার বাংলা অর্থ একনায়কতন্ত্র চলবে না ৷ এছাড়া তিনি ‘জয় ভীম, জয় ভারত’ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন ৷
2001 সালে এমন একটি 13 ডিসেম্বর সংসদে জঙ্গি হামলা হয়েছিল ৷ ন’জন নিহতও হন ৷ সেই ঘটনার 22 বছর পূর্তির দিনই এই ঘটনা সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছে ৷ ঘটনার পরই সংসদ ভবন চত্বরে যান দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা ৷ তিনি পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ৷ সংসদের নিরাপত্তা এ দিন বৃদ্ধিও করা হয় ৷ পুরো ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল-কে৷ ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন ৷
আরও পড়ুন:
- 'নিরাপত্তায় গুরুতর গলদ, তবে 2001 হামলার সঙ্গে তুলনা চলে না !' সংসদে অনুপ্রবেশ নিয়ে মত বিশেষজ্ঞদের
- 22 বছর পূর্তির দিন সংসদে হামলার আতঙ্ক ফিরল লোকসভায়, গ্যালারি থেকে অধিবেশন কক্ষে ঝাঁপ দিয়ে আটক দুই
- আচমকা গুলির শব্দ ! জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের লড়াই, ফিরে দেখা সংসদে জঙ্গি হামলার ভয়াবহ স্মৃতি