মুজাফফরনগর, 27 অগস্ট:প্রেমিকের হয়ে আদালতে সাক্ষী দিতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ৷ তার আগেই নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে তাঁকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে ৷ নদী থেকে 19 বছর বয়সি তরুণীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ ঘটনা উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার শাহপুরের গয়লা গ্রামে ৷ মেয়েটির বাবা-মাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অভিযোগ, মেয়েটির বাবা-মা তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে । এরপর মেয়েটির দেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয় । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে । জানা গিয়েছে, মেয়েটি তাঁর প্রেমিকার পক্ষে আদালতে সাক্ষী দিতে চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তাঁর অভিভাবক ৷ সম্মান বাঁচাতে মেয়েকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ।
সূত্রের খবর, মুজাফফরনগরের গয়লা গ্রামের প্রধান ধর্মপাল কিছু লোককে বলতে শোনেন, বিজেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রী কুসুম তাঁদের মেয়েকে হত্যা করেছেন এবং তার দেহ নদীতে ফেলে দিয়েছেন । এরপর প্রধান থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান । তারপরই শনিবার গ্রামবাসী ও ডুবুরিদের সহায়তায় নদীতে মেয়েটির দেহের খোঁজ শুরু করে পুলিশ । সন্ধ্যায় রতনপুরীর ভানওয়াদা গ্রামের কাছে নদী থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয় । পুলিশ দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত ।
আরও পড়ুন:ভিন সম্প্রদায়ের প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা, কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা বাবা-দাদার
এ বিষয়ে সিও বুধনা হিমাংশু গৌরব বলেন, "মেরঠের মাওয়ানা এলাকার বাসিন্দা রাহুলের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল । এক বছর আগে তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনায় শাহপুর থানায় মামলা করা হয় । পুলিশ আট মাস আগে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ৷ যুবকের জেল হেফাজতে হয় । বর্তমানে রাহুল জেলে রয়েছেন । শনিবার এই মামলায় তরুণীর সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা ছিল । তিনি প্রেমিকার পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন । এ কারণে তাঁকে হত্যা করা হয় । পুলিশ মেয়েটির বাবা বিজেন্দর ও মা কুসুমকে গ্রেফতার করেছে । দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । বস্তায় বন্দি অবস্থায় দেহটি পাওয়া গিয়েছিল । পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।"