আমেদাবাদ, 17 মার্চ:বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ঘরে বসতে দিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ল শিক্ষা বিভাগ ৷ পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক ছাত্রী, যার কোমরের নীচে শরীর বাকি অংশ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে গিয়েছে ৷ তাকে কেন পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় বসতে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা ৷ যদিও গোটা ঘটনায় রাজ্য়ের শিক্ষা দফতরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷
গুজরাতের ভাবনগরে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিল ঈশিতা। বিশেষভাবে সক্ষম ঈশিতাকে (Paralytic student Ishita) পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ৷ কারণ, তাকে জানানো হয় পরীক্ষার দেওয়ার জন্য় দ্বিতীয় তলায় যেতে হবে ৷ একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত পড়ুয়ার পক্ষে দ্বিতীয় তলায় যাওয়া সম্ভব কী করে ? শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক সালিম এবং তাঁর সহযোগীরা স্ট্রেচারে করে ঈশিতাকে তার নির্দিষ্ট আসনে পৌঁছে দেয় । এই ঘটনায় সমালোচিত হয়েছে রাজ্য়ের শিক্ষা দফতর ৷ অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা দাবি করছে, ঈশিতার এই ঘটনার জেরে পরীক্ষার হলে (Examination Hall) প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের (Paralytic) জন্য যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গুজরাত সরকারের শিক্ষা বিভাগ করে না, তা কার্যত ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের এই চরম অবহেলায় কার্যত সমালোচনার ঝড় উঠেছে।